ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলfর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভুটানে উৎপাদিত সব পণ্য (আলু ও সুতা ব্যতিত) আমদানি করা যাবে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) আমদানি যোগ্য পণ্যের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রকাশিত তালিকায় নতুন আরো কিছু পণ্য যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য মার্বেল চিপস, তিল ও ফ্লাই অ্যাশসহ আরো কয়েকটি পণ্য রয়েছে। এর ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি বাণিজ্য চাঙা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন ধরেই চাহিদা সম্পন্ন আরো কিছু পণ্য আমদানির অনুমতি চেয়ে আসছিলেন। তবে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ স্থলবন্দরটি দিয়ে আগের মতই সব ধরনের পণ্য রফতানি করা যাবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরটিকে মূলত রফতানিমুখী বন্দর ধরা হয়। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট ও প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান- এনবিআরের নতুন তালিকা আমরা পেয়েছি। ভুটানে উৎপাদিত পণ্য আমদানির অনুমতি পেয়ে আমরা আনন্দিত। নতুন আরো কিছু পণ্য আমদানির অনুমতি দিয়েছে এনবিআর। ভারতের আসাম দিয়ে ভুটান থেকে পণ্য আমদানি করা যাবে। তবে দেশে ভুটানের কোন পণ্যগুলোর চাহিদা আছে ও আমদানি ব্যয় কেমন হবে, সেগুলো পর্যালোচনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কখন ও কোন পণ্য আমদানি করব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি যোগ্য পণ্যের নতুন তালিকা আমাদের কাছে এখনো আসেনি। তবে পণ্য আমদানি বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় বাড়বে।’