ঢাকা: ‘ওড়িশি’ ভারতীয় নৃত্য কলার এক অসামান্য ধারা। পুরীর জগন্নাথ মন্দির ও কোনারকের সূর্য মন্দিরে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপনার ঐতিহ্য এ আধ্যাত্মিক নৃত্যশৈলীকে দিয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা।
আদি শংকরাচার্য বিরচিত ‘শ্রী জগন্নাথ অষ্টকম’। এর অর্থ, যিনি এক সময়ে কালিন্দী তটবর্ত্তী বিপিন মধ্যে সঙ্গীত শ্রবণে চঞ্চল হইয়া প্রীতভরে ভূঙ্গের ন্যায় গোপাঙ্গণাগনের বদনকমল আস্বাদন করিয়াছিলেন। লক্ষ্মী, শিব, ব্রক্ষ্মা, ইন্দ্র ও গণেশ যার পদযুগল অর্চনা করেন, সেই প্রভু জগন্নাথ আমার নয়ন পথবর্ত্তী হউন। আডা চৌতাল তাল, রাগ মালহারে আশ্রিত ও বিজন কুমার জৈনের সুরে শ্রী জগন্নাথকে মুদ্রা ও তালে শ্রদার্ঘ্য নিবেদনের মধ্যে দিয়ে মঞ্চ আলোকিত করেন চট্টগ্রামের ওড়িশী নৃত্যশিল্পীরা।
বুধবার (২৯ মে) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকা আয়োজিত শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের চতুর্থ দিনের পর্দা ওঠে বাংলাদেশের অন্যতম ওড়িশী নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রামের নৃত্যশিল্পীদের জগন্নাথ বন্দনার মধ্যে দিয়ে। জগন্নাথ বন্দনার পর শিল্পীরা মঞ্চে নিয়ে আসেন বর্ষা পল্লবী। শিল্পীরা রাগ বৃন্দাবনী সারং ও একতালিতে আশ্রিত বর্ষা পল্লবী পরিবেশন করেন। যা বর্ষা ঋতুর কবিতা ও ভাবপ্রবণ দ্বারা অনুপ্রাণিত। বর্ষা ঋতুতে প্রকৃতি সেজে ওঠে অপরূপ সৌন্দর্যে। কখনো অঝোর ধারায় বৃষ্টি কখনো বা ঝিরিঝিরি প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ হয়ে ময়ূরও নেচে ওঠে পেখম মেলে। নৃত্যের মধ্যে দিয়ে শিল্পীরা ফুটিয়ে তোলেন বর্ষায় প্রকৃতির অপরূপা হওয়ার গল্প।
নৃত্য নিবেদনে ছিলেন ময়ূখ সরকার, অর্জিতা সেন চৌধুরী, ঈষিকা দাস, বৈশাখী বড়ুয়া, শ্রাবণী ধর ও সরিমা সরকার সৃজা। নৃত্য নির্মাণ ও পরিবেশনায় ছিলেন প্রমা অবন্তী। শব্দে প্রক্ষেপণে ছিলেন অভ্র বড়ুয়া।