বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে হস্তান্তর করা

শুক্রবার, আগস্ট ১৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
মো. শাহরিয়ার আলম

ঢাকা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টকে স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে হস্তান্তর করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) শাহরিয়ার আলম ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট পুরো দেশের ৬৩ জেলায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ১৮তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিন এসব কথা বলেন।

তিনি শাহরিয়ার আলম আরো বলেন, ‘ঘটনার অন্যতম প্রধান অপরাধী রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কেন, কার নির্দেশে ও কী উদ্দেশ্যে তারা (মার্কিন) তাকে ফেরত দিচ্ছে না, তা আমরা জানি না।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত সোচ্চার এবং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু, জাতির পিতার হত্যাকারীকে যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশিদের কষ্ট দেয় ও হতাশ করে।’

বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি, যারা এখনো পলাতক রয়েছেন তারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহউদ্দিন খান।

এদের মধ্যে নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীর সন্ধান পাওয়া গেছে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে, অন্যায়ের অবসান ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধার করতে হলে বিচারের রায় বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশা, করি তারা অবশ্যই রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেবেন।’

এর আগে বিভিন্ন অজুহাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে হস্তান্তর না করে তাদের আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডিত খুনিদের ফেরত না দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা ওইসব দেশের জন্য লজ্জার, যদিও এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থার পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেখা গেছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘হুমকি দেয়- এমন কোন সন্ত্রাসী দলকে তাতে স্থান দেয়া হয়নি।’

তিনি নিরাপত্তা জোরদারে সরকারি প্রচেষ্টা এবং রাজশাহী ও দেশের অন্যান্য অংশ থেকে কীভাবে জঙ্গিদের উৎখাত করা হয়েছিল, তা তুলে ধরেন।