৩,৫০০ বছর আগে তৈরি কাঁচের বস্তু থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ে প্রস্তুত ৫০,০০০ এর বেশি কাচের সামগ্রী রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এই কাচের জাদুঘরে।
নিউইয়র্ক সিটি থেকে প্রায় ২৫০ মাইল উত্তরে এবং কানাডা সীমান্ত থেকে ১৪৩ মাইল দক্ষিণে এই জাদুঘরের অবস্থান। এক লক্ষ বর্গফুট আয়তনের জাদুঘর এলাকার মধ্যে ২৬,০০০ বর্গফুট জুড়ে গ্যালারি। এখানে রয়েছে কাঁচ তৈরির প্রশিক্ষন কেন্দ্র। স্থাপনকাল ১৯৫১ সাল।
এগার হাজার জনসংখ্যার কর্নিং সিটির নামকরণ ‘্এরাসটাস কর্নিং’ এর নামে, যিনি ১৮৬০ এর দশকে তার ব্রুকলিনের কাচ কারখানা ‘ব্রুকলিন ফ্লিন্ট গ্লাস ওয়ার্কস’ এখানে স্থানান্তর করে কারখানার নাম দিয়েছিলেন ‘কর্নিং গ্লাস ওয়ার্কস’। প্রবেশ ফি জনপ্রতি ২০ ডলার। স্থানীয় বাসিন্দা ও শিশুদের জন্য প্রবেশ ফি ১০ ডলার করে। জাদুঘরের গ্যালারিতে সংরক্ষিত কাচের বস্তুগুলো বিক্রয়যোগ্য নয়। কিন্তু বিক্রয়ের জন্য নিচতলায় বিশাল এলাকাজুড়ে বিক্রয়যোগ্য কাচের সামগ্রী রয়েছে। প্রকাশনাও আছে বিক্রয়ের জন্য। বার্ষিক ৫০ লক্ষের বেশি দর্শক কাচের জাদুঘর দেখতে আসেন। প্রবেশ ফি ও বিক্রয় থেকে জাদুঘরের বার্ষিক আয় ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। জাদুঘরের সংগ্রহে বিশ্বের সকল অঞ্চলের অতীত ও সাম্প্রতিক সময়ের কাচের সামগ্রী রয়েছে।
কাচের সামগ্রীই যেন বলে দিচ্ছে সাড়ে তিন হাজার বছরের সভ্যতার ইতিহাস। তৈজসপত্র থেকে শুরু করে কাচ দিয়ে তৈরি হাজার ধরনের শিল্পকর্ম, ভাস্কর্য ও মূর্তি। বিশ্বের বহু প্রাচীন আমলের পোপ, রাজা, রানি, রাজপুত্র ও বাজকন্যাসহ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের ব্যবহৃত কাচের পাত্র রয়েছে এখানে। বিক্রয়যোগ্য কাচের শিল্পকর্মের দাম দেখলে মাথা ঘোরার উপক্রম হয়। দুই ফুট দীর্ঘ নৌকা-সদৃশ্য একটি শিল্পকর্মের দাম লেখা আছে ৪৫,০০০ ডলার। দাম বেশী হলেও অনেক ক্রেতাই কাচের শিল্প সংরক্ষনের জন্য নিজের পছন্দসই অনেক কিছুই কিনছেন।