চট্টগ্রাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা, ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও জীবনের নিরাপত্তা ফিরে পেতে চায়। জনগণ স্পস্ট বার্তা দিয়েছে, অবৈধ ফ্যাসিস্ট, দখলদার, অনির্বাচিত ও নির্যাতনকারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এ বার আর ভোট চুরি করতে দেয়া যাবে না। ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে। ভোট চোরদের ধরে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের মানুষের জন্য নির্বাচিত সরকার করতে হবে। বিএনপির এ ২৭ দফা আন্দোলনের একটি অংশ। বাংলাদেশের মানুষের একটাই দাবি- এ সরকারকে বিতাড়িত ও পতন করা।’
শনিবার (৭ জানুয়ারী) বিকালে সিটির কাজীর দেউরীস্থ সমাদর কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে দশ দফা দাবী ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু আরো বলেন, ‘দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নাই। দেশকে বাঁচাতে হলে জনগণের সাথে কিছু ওয়াদা দিতে হবে। সেটাই করেছেন তারেক রহমান। রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা অনেক উপরে স্থান পেয়েছে। আজকে বিএনপির ২৭ দফার রুপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সরকারে কোন রোগী বিনা চিকিৎসায় ও টাকার অভাবে মারা যাবে না। জাতীয় সংসদে নারীদের প্রাধন্য দেয়া হবে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া দেশ কোনভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। সব নাগরিক যাতে স্বাস্থ সুবিধা পায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারেক রহমান যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তাতে দেশের আমূল পরিবর্তন হবে। আবার যারা হতদরিদ্র তাদেরকে ওষুধের জন্য টাকা দেয়া হবে। যারা চাকরি পাবে না, যারা বেকার, তাদের জন্য বাজেটের একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে। অনেকে প্রশ্ন করে, এত টাকা দেয়ার বাংলাদেশে আছে কি-না। আসলে বাংলাদেশে টাকা আছে। পদ্মা সেতুর দম হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ না করলে, এসব টাকা দেয়া কোন ব্যাপার না।’
আমির খসরু বলেন, ‘বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন চায়। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষে ও মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন- ২০৩০ আলোকে বিএনপি রাষ্ট্র রুপান্তরমূলক সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। এ জন্যই তারেক রহমান গণতন্ত্রকামী সব দল ও শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনোত্তর একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় সরকার গঠন ও জনগনের সব স্তরের প্রতিনিধিত্বশীল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছেন।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এসএম ফজলুল হক, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, এএসএম বদরুল আনোয়ার, জসিম উদ্দিন, জাহিদুল করিম কচি, মফিজুল হক ভুঁইয়া, এসএম নসরুল কদির, এনামুল হক, নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, আব্বাস উদ্দীন, বিএনপি নেতা এমএ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এসএম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন শিকদার, এনামুল হক এনাম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, মাহবুব আলম, মোশারফ হোসেন, ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মোস্তাফিজুর রহমান, কাশেম চৌধুরী, আবু তাহের, নুরুল কবির, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, জান্নাতুন নাঈম রিকু।