বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মারা গেছেন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন

বুধবার, অক্টোবর ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও মাদারীপুর- তিন আসনের সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল হোসেন মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে জন্ম নেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
তিনি স্ত্রী খাজা নার্গিস, দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেনকে রেখে গেছেন।

তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-তিন আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০০৯-২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন।

২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু, বছরের শেষ দিকেই তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি যোগাযোগ মন্ত্রীর পদ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকেও দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয়। যদিও ঐ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সেতুর ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু, ৩০ জুন পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্ব ব্যাংক। তবে, ৯ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরবর্তী পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে একটি মামলা হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কানাডার আদালত জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।