চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মুহাম্মদ আসীম জাওয়াদ। আহত হয়েছেন আরেক পাইলট।
ব্যাপারটি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘চট্টগ্রাম নৌবাহিনী হাসপাতালের চিকিৎসক ওই পাইলটকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেছেন।’
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অসীম জাওয়াদ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগ দেন। তিনি ২০১১ সালে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। আহত পাইলটের নাম সোহান। তিনি বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
এর পূর্বে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে বিমানের দুইজন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়।
বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে এটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় বিমানে থাকা দুইজন পাইলট প্যারাশুট দিয়ে নেমে যান। এক পর্যায়ে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই সার্জেন্ট জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির অবস্থান। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি সেখান থেকে উড্ডয়ন করেছিল।