বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

শিরোনাম

মার্কিন অভিবাসন ক্র্যাকডাউন: বাংলাদেশি জনগণের জন্য চ্যালেঞ্জ ও নীতিগত বিকল্প’ শীর্ষক সেমিনার

বুধবার, মে ১৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে ‘মার্কিন অভিবাসন ক্র্যাকডাউন: বাংলাদেশি জনগণের জন্য চ্যালেঞ্জ ও নীতিগত বিকল্প’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের সানাই রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি হলে আয়োজিত এই সেমিনারটি আয়োজন করে মাইকেল ই পিস্টন আইন অফিস।

সেমিনারের সঞ্চালনায় ছিলেন ফাওজিয়া আরিনা। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন অভিবাসন নীতিতে যেসব কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা একাধিক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। বিশেষ করে, ভিসা ব্যাকলগ, আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান, নির্বাসনের ঝুঁকি ও অভিবাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর ভূমিকার কারণে অনেকেই উদ্বিগ্ন ও বিপাকে পড়েছেন।’

সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ এটর্নি মাইকেল এডওয়ার্ড পিস্টন ও ল অফিসার লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অভিবাসন নীতির পরিবর্তন এবং এর বাস্তব প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নীতিগত পরিবর্তন শুধু বর্তমান আইনি অবস্থান নয়, অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকেও প্রভাবিত করছে। তারা বলেন, ‘সময়মতো সঠিক আইনি পরামর্শ ও সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমেই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব।’

সেমিনারে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি গিয়াস আহমেদ এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আজগর হোসাইন খান বাবু। তারা জানান, বিশেষ করে যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী টার্মিনেশনের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য মাইকেল ই পিস্টন আইন অফিস বিনামূল্যে আবেদনসহ আইনি সেবা দেবে।

সেমিনারে বক্তারা একমত হন যে, অভিবাসন আইন সম্পর্কে সচেতনতা ও আইনগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের তাদের অধিকার সম্পর্কে জানার পাশাপাশি প্রযোজ্য পদক্ষেপ গ্রহণে সতর্ক ও সক্রিয় হতে হবে।

বক্তারা বলেন, ‘এই ধরনের সেমিনার শুধু তথ্যভিত্তিক আলোচনার সুযোগই সৃষ্টি করে না, বরং অভিবাসীদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনাও দেয়, যা তাদের নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়ক হতে পারে।’