নিউজ ডেস্ক: খলিলের আইনজীবীরা বুধবার জানান, বিচারক ফারবিয়ারজের রায়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবার ঘোষণা করা হলো যে, শুধু পররাষ্ট্র নীতিগত কারণ দেখিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে বিতাড়ন করা যাবে না। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট ও ফিলিস্তিনপন্থি অ্যাকটিভিস্ট মাহমুদ খলিলকে আপাতত বিতাড়ন বা আটক রাখতে পারবে না বলে বুধবার রায় দিয়েছেন নিউ জার্সির এক ফেডারেল বিচারক।
লুইজিয়ানার একটি আটক কেন্দ্রে বন্দি রয়েছেন মাহমুদ খলিল। এনওয়াই ডেইলি নিউজ জানায়, বিচারক মাইকেল ফারবিয়ারজ খলিলের মুক্তির অনুরোধ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, খলিলের ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো পররাষ্ট্র নীতিগত স্বার্থ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলে অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেইট মার্কো রুবিও যে অবস্থান নিয়েছেন, তার ভিত্তিতে এ অ্যাকটিভিস্টের বিতাড়ন চাইতে পারবে না অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে একই বিচারক জানিয়েছিলেন, খলিলের বিষয়ে অভিবাসন আইনের যে বিধান প্রয়োগ করা হয়েছে, তা অস্পষ্ট। এ কারণে একে অসাংবিধানিক হিসেবে তুলে ধরতে পারেন তিনি। খলিলের আইনজীবীরা বুধবার জানান, বিচারক ফারবিয়ারজের রায়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবার ঘোষণা করা হলো যে, শুধু পররাষ্ট্র নীতিগত কারণ দেখিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে বিতাড়ন করা যাবে না।
এ বিষয়ে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের ল স্কুলের ক্লিয়ার প্রজেক্টের সহ-পরিচালক রামজি কাসেম বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে মাহমুদ খলিল প্রথম দিন থেকে যেটা বলে আসছেন, তাই প্রমাণ হলো। খলিল বলছিলেন, রুবিওর নির্দেশনার ভিত্তিতে সরকার তাকে আটক রাখতে বা বিতাড়ন করতে পারে না।