সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

মিয়ানমারের বিজিপির আরো ৪৬ সদস্যের আশ্রয় বাংলাদেশে

বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বিজিপির আরো ৪৬ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ)। চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে এসব বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত একটার দিকে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আশারতলী ও চাকঢালা সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তারা সকলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন। এ নিয়ে গেল এক মাসে সদর ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে মোট ২৬০ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন প্রকার জটিলতা সৃষ্টি না হলে চলতি মাসেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপির সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে বিজিবি সূত্রে জানা যায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডের মেম্বার সাবের আহাম্মদ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের সাথে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে আনুমানিক ৪৫-৪৬ জনের মত মিয়ানমারের বিজিপির সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

বলে রাখা ভাল, গেল ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির সাথে বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪-৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজিপির সদস্যসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপির সদস্য, চারজন বিজিপির পরিবারের সদস্য, দুইজন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৩৩০ জনকে গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।