নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকার (মুনা) আগামী ৯-১১ আগস্ট অনুষ্ঠেয় ‘মুনা কনভেনশন ২০২৪ সামনে রেখে ইমাম ও কমিউনিটির লিডারদের সম্মানে মত বিনিয়ম ও ডিনারের আয়োজন সম্পন্ন করেছে মুনা নিউইয়র্ক নর্থ জোন। সোমবার (১ জুলাই) জ্যাকসন হাইটসে মুনা সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নিউইয়র্ক নর্থ জোনের সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুনার ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আরমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মুনা কনভেনশন ২০২৪ বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে বক্তব্য দেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমির সম্পাদক রতন তালুকদার, মসজিদ আবরারের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল খায়ের, মসজিদ বায়তুল আতিক মসজিদের খতিব মাওলানা নজরুল হক, সানি সাইড মসজিদে ইব্রাহিমের ইমাম ও খতিব ইমাম ইউসুফ, উডসাইড বায়তুল জান্নাহ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. তোহফাজ উদ্দিন, মসজিদে ইব্রাহিমের সভাপতি পারভেজ রহমান, শিক্ষাবিদ আবুল কাসেম, সৈয়দ আহমেদ, এনওয়াইপিটির সিনিয়র কর্মকতা সামসুল হক, ব্যবসায়ী এমকে রহমান মাহমুদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুনা নিউইয়র্ক নর্থ জোনের শিক্ষা সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার।
অনুষ্ঠানে হারুন অর রশীদ ইমাম ও কমিউনিটির নেতাদের সার্বিক সহযোগিতায় কামনা করে বলেন, ‘আলাহর রহমতে বিগত বছরগুলোতে বিশাল আকারের মুনা কনভেনশন বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তিন দিনের ওই কনভেনশন বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির মাঝে ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আমরা মুনা ন্যাশনাল সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে ও আপনাদের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশী কমিউনিটিকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘মুনা আমেরিকার একটি দাওয়াতি ও সামাজিক সংগঠন। মানুষের ব্যক্তিগত নৈতিক ও সামাজিক মানোন্নয়নর জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালানোর মাধ্যমে আলাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত হয় মুনা। এ সংগঠনটি ১৯৯০ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে কর্পোরেশন ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে মুনা আমেরিকার ৪৮’-এর অধিক রাজ্যে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছে।’
হারুন অর রশীদ গাজার মুসলমানদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘৪০ হাজার মানুষের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আমাদেরকে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি। আমাদেরকে জাগতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মুনা কোন রাজনীতিক সংগঠন নয়। আমরা মুসলমান ও অমুসলমানদের কাছে কুরআনের দাওয়াত দিয়ে থাকি। আমাদের পাঁচ দফা কর্মসূচী শুধু মুসলিম তথা ইসলামে বিশ্বাসীদের জন্য নয়, এটা পুরো মানব গোষ্ঠীর উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে। মুনা শতকরা ১০০ ভাগ কুরআন ও সুন্নাহের অনুসরণ করে। মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও রাসুল (সা.) প্রদর্শিত সুন্নাহর কল্যাণকর পতাকা প্রতিটি হৃদয়ে, প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে পৌঁছে যাক মুনা এ বিশ্বাস ধারণ করেই কনভেনশনে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে।’
মুনার এ কাজে ইমাম ও কমিউনিটির নেতাদের মাধ্যমে সবার সহযোগিতা চান হারুন অর রশীদ।
আরমান চৌধুরী বলেন, ‘আগামী ৯-১১ আগস্ট ২০২৪ ফিলাডেলফিয়ায় অবস্থিত পেনসিলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারে মুনা কনভেনশন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে। এ সেন্টারের ধারণ ক্ষমতা প্রায় এক লাখ লোকের। এ কনভেনশন মুসলিম জীবনে বিশেষ করে বাংলাদেশী-আমেরিকান পরিবার ও নয়া প্রজন্মের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মুনা মুসলমানদের প্রাত্যহিক সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ড এবং জাতীয় নাগরিক জীবনে ভূমিকা পালনের নিমিত্তে সংগঠিত করতে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে এসব ব্যক্তি আলাহ ও তার রাসুল হযরত মুহাম্মদের (সা.) অনুসরণের মাধ্যমে মানবতার সেবা করে যেতে পারে।’
বলে রাখা ভাল, আগামী ৯-১১ আগস্ট অনুষ্ঠেয় কনভেনশনের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় ও থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইসলাম পিচ এন্ড জাস্টিজ ফর হিউম্যানিটি’।