চট্টগ্রাম: নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিবিম্ব শহীদ বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী। তার যাপিত জীবন, কর্ম ও শিল্প সৃজনের আলোকে একক নাটক রচনা করেছেন অপূর্ব কুমার কুন্ডু। ‘মুনির চৌধুরীর মরমিয়া মন’ শিরোনামের এ নাটকের পান্ডুলিপি হস্তান্তর হয় সোমবার (১৫ আগস্ট) শহীদ মুনীর চৌধুরী সড়কের মাতৃছায়া ভবনের থিয়েটার কার্যালয়ে। বাংলা নাটকের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার ও বিশ্ব আইটিআইয়ের সভাপতি রামেন্দু মজুমদারের হাত থেকে নাটকের পাণ্ডলিপি গ্রহণ করেন মূকাভিনয়শিল্পী রিজোয়ান রাজন। নাটকে একক অভিনয় করবেন রিজোয়ান রাজন।
অপূর্ব কুমার কুন্ডু বলেন, ‘নাটকটির কাহিনী গড়ে উঠেছে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত আটটার মধ্যবর্তী এক ঘণ্টার সময়কে কেন্দ্র করে। টর্চার সেলে কারারুদ্ধ মুনীর চৌধুরীর সামনে দুইটি পথ। একটি ক্ষমা ভিক্ষার রাস্তা অপরটি বধ্যভূমির রাস্তা। রাজনৈতিক আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন ভুল ছিল স্বীকার করে ক্ষমা ভিক্ষার রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরা অথবা ভুল স্বীকার না করে বীরত্বের সাথে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা। টর্চার সেলে চাপিয়ে দেয়া এ দোত্যনায় শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত নিলেন মুনীর চৌধুরী। এ দ্বান্ধিকতা নিয়ে নাটকটি।’
নাটকের পাণ্ডুলিপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুনীর চৌধুরীর বোন অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার ভাইয়ের জীবনের কথা তুলে ধরেন। নাটকটির শিল্প নির্দেশক ও মঞ্চ পরিকল্পক তামিমা সুলতানাকে স্ববিশেষ সময়ের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার কথা বলেন রামেন্দু মজুমদার। পাশাপাশি রিজোয়ান রাজন ও তামিমা সুলতানার হাতে তিনি কয়েকটি লেখা ও চিত্রমালা উপহার দেন, যা মুনীর চৌধুরীর মরমিয়া মনকে আরো বেশি প্রস্ফুর্টিত করবে বলেই প্যান্টোমাইম মুভমেন্টের বিশ্বাস।
রিজোয়ান রাজন বলেন, ‘ফেরদৌসী মজুমদার দিক নির্দেশিত আত্ম নিমগ্নতা, রামেন্দ মজুমদার উত্থাপিত সময়কে খনন করা, অপূর্ব কুমার কুন্ডুর আনন্দের সাথে নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম করবার মানসিকতা আর প্যান্টোমাইম মুভমেন্টের সদস্যদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে এ বছরের আসন্ন শীতেই আমরা একক অভিনীত নাটক ‘মুনীর চৌধুরীর মরমিয়া মন’ নিয়ে দর্শকদের সামনে আসতে অধীর অপেক্ষায় অপেক্ষমান।’