লন্ডন, ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ডে গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আকস্মিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন লিজ ট্রাস। খবর এএফপির।
তিনি মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন। তিনি গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
এর মধ্য দিয়ে লিজ ট্রাস ব্র্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রীর তকমা পান। এর প্রায় ১০০ বছর আগে ১৮২৭ সালে টোরি পার্টির জর্জ ক্যানিংয়ের ১১৯ দিন প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড রয়েছে।
লিজ ট্রাস সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তার অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় নি, যার ফলে বাজারের পতন ঘটে ও এটি তার কনজারভেটিভ পার্টিকেও বিভক্ত করে। ফলে তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।
তবে লিজ ট্রাস বলেন, ‘উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।’
লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী পদে প্রচারের সময় অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা-ই তার গলার ফাঁস হয়ে ওঠে। ট্রাস সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। অর্থ মন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং যিনি ট্রাসের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন। তিনিও পদত্যাগ করেছেন।
কোয়ার্টেংয়ের সিদ্ধান্ত ও ক্রমাগত সমালোচনার ফলে অর্থনীতি লাইনচ্যুত হওয়ায় নতুন অর্থ মন্ত্রী জেরেমি হান্ট পূর্ববর্তী অর্থমন্ত্রী কোয়ার্টেংয়ের প্রায় সব সিদ্ধান্তই বাতিল করে দেন। এর পরেও ট্রাস সরকারের ওপর চাপ কমে নি। এমনকি তার নিজ দলের সাংসদেরাও তার বিরুদ্ধে সরব হন।