আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার কাছে নৌ-মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া ও চীন। আর এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা সাথে সাথে সেখানে চারটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি বিমান পাঠায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়া ও চীনের একটি বড় নৌবহর আলাস্কার উপকূলের কাছে মহড়া চালিয়েছে। যদিও ঘটনাটি ঘটেছে আরো এক সপ্তাহ আগেই। তবে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শনিবার (৫ আগস্ট), যখন আলাস্কার দুইজন রিপাবলিকান সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে বিষয়টি উত্থাপন করেন। খবর আরটির।
ওই দুই সিনেটরের নাম লিসা মার্কোস্কি ও ড্যান সালিভান। তারা বলেন, ‘অন্তত ১১টি শত্রু যুদ্ধজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল।’
তারা চীন-রাশিয়ার এই আচরণকে ‘অনুপ্রবেশ’ বলে আখ্যায়িত করেন।
সালিভান বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা বেইজিং ও মস্কোর স্বৈরশাসকদের দ্বারা ফের আগ্রাসনের হুমকিতে রয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অধিনায়ক ও হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ব্রেন্ট স্যাডলার বলেন, ‘ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ ও তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই আলাস্কায় নৌবহর পাঠানো একটি ‘অত্যন্ত উত্তেজক’ কৌশল।
এ দিকে, ইউএস নর্দার্ন কমান্ডও নিশ্চিত করেছে যে, চীন ও রাশিয়া ওই অঞ্চলে যৌথ নৌ মহড়া চালিয়েছে। তবে, ঠিক কয়টা যুদ্ধজাহাজ চীন-রাশিয়া পাঠিয়েছিল, তা তারা নিশ্চিত করে জানায়নি।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক সম্পদ ও প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমরা পাল্টা অপারেশন চালিয়েছি।’
শত্রু দুই দেশের এমন উস্কানিমূলক আচরণের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে চারটি ডেস্ট্রয়ার ও একটি পসেইডন পি-৮ টহল বিমান পাঠিয়েছিল। যদিও, চীন-রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম ছিল।