মিয়ামি, ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: বার্সেলোনা, লিভারপুল, এ্যাথলেটিকো ও আয়াক্সের সাবেক উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ ২০২৪ মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিচ্ছেন। এমএলএস ক্লাব সূত্র শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দিয়েছে।
আগামী মাসে ৩৭ বছরে পা রাখতে যাওয়া সুয়ারেজ বার্সেলোনার হয়ে চারটি লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন। এছাড়া, আয়াক্স ও অ্যাথলেটিকোর হয়েও শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসি, সার্জিও বাসকুয়েটস ও জোর্দি আলবার সাথে মিয়ামিতে ফের দেখা হচ্ছে সুয়ারেজের।
এ ব্যাপারে সুয়ারেজ বলেছেন, ‘আমি সত্যিই দারুন খুশী। ইন্টার মিয়ামির নয়া চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি। অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না। সত্যিকার অর্থেই দারুন এই ক্লাবটির হয়ে আরো বেশী শিরোপা জয়ের স্বপ্নে আমি প্রস্তুত। সবাই একসাথে মিলে ভাল কিছু মিয়ামিকে উপহার দিতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী। এই ক্লাবের অসাধারণ সমর্থকদের সম্পর্কে আমি শুনেছি। এই ক্লাবের জার্সি পড়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছি। একইসাথে পুরনো বন্ধু ও সতীর্থদের সাথে ফের দেখা হওয়ার সুযোগ হচ্ছে, ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে এর থেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না।’
গেল মৌসুমে গ্রেমিওর হয়ে খেলা সুয়ারেজ ব্রাজিলিয়ান লিগে সেরা খেলোয়াড় ও সেরা স্ট্রাইকার মনোনীত হয়েছেন। গ্রেমিওর হয়ে ৫৩ ম্যাচে করেছেন ২৬ গোল, অ্যাসিস্ট করেছেন ১৭টি।
সুয়ারেজকে দলে পেয়ে ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ও ইন্টার মিয়ামির মালিক ডেভিড বেকহ্যাম বলেছেন, ‘লুইসের মত প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে পেয়ে আমরা দারুন আনন্দিত। আমাদের সৌভাগ্য, তার মত একজন খেলোয়াড়কে আমরা দলে পেয়েছি। আগামী প্রজন্মের জন্য তার মত খেলোয়াড় পাওয়া অনুপ্রেরণার। সুয়ারেজকে মাঠে দেখতে আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
২০১১ সালে কোপা আমেরিকা জয়ে উরুগুয়ের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন সুয়ারেজ।
ইন্টার মিয়ামির আরেক মালিক জর্জ ম্যাস বলেছেন, ‘লুইস সুয়ারেজের মত বিশ্বসেরা তারকাকে ক্লাবে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা দারুন খুশী। লুইস একজন ভয়ঙ্কর প্রতিদ্বন্দ্বী। তার মধ্যে জয়ের যে মানসিকতা আছে, সেটা আমরা অন্য খেলোয়াড়দের মধ্যেও দেখতে চাই।’
বার্সেলোনার হয়ে সুয়ারেজ ২৮৩ ম্যাচে ১৯৫ গোল করেছেন। এছাড়া, সতীর্থদের দিয়ে ১১৩টি গোল করিয়েছেন। লিভারপুলের হয়ে লিগ কাপ জয় করেছেন, ১৩৩ ম্যাচে করেছেন ৮২ গোল। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ৮৩ ম্যাচে তার গোলের সংখ্যা ৩৪।