ঢাকা: ‘ঢাকার মানুষ বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে ভাবছে না। তারা মেট্রোরেল নিয়ে আছে। বাংলাদেশ মেট্রোরেল নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত। বিএনপি নিয়ে ভাবছে বলে মনে হয়না। ’৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে আমরা যুদ্ধ করছি। আমাদের রাজনৈতিক যুদ্ধ বা খেলা চলমান আছে এবং এটা দেশমাতৃকার জন্য। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা; ততক্ষণ পর্যন্ত মাঠে আছি। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি মেগা প্রকল্প। সেটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার আওতায় জাহাজটি আছে- বিষয়টি জানা ছিল না। এখন যেহেতু নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানা হয়েছে- সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, তাড়াতাড়ি ভারতের একটি ক্রুজ বাংলাদেশে আসছে। এ বিষয়ে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনসহ কয়েকটি ব্যাপারে কিছুটা চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ ও ক্রুজ আগমন উপলক্ষ্যে ভারতের একটি টিম চাঁদপুর, বাগেরহাট ও মোংলা পরিদর্শন করবে। সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি জানান, অতিমারী করোনার পর স্থলবন্দরগুলো ফুলসুইংয়ে শুরু হয় নি। অনেক জায়গায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভিসা ইস্যু করছে না; সমস্যা হচ্ছে। সে সব বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা পদক্ষেপ নিবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত ভাল আছে। অসুবিধা নাই। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। উদ্বিঘ্ন হওয়ার কিছু নাই। এগুলো আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের কোন বিষয় না। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর আছে। স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে বিজিবি বিএসএফের মধ্যে সমস্যা হয়। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। বিচ্ছিন্ন ঘটনা যাতে আর না হয়, সে জন্য দুই দেশের সরকার কাজ করছে। অনেকগুলো স্থলবন্দর অপারেশনের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরও রয়েছে। রামগড় স্থলবন্দর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠানো হয়েছে। জানুয়ারিতে চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী এপ্রিল বা মে’তে পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল চালু করা হবে। আন্ধারমানিক নদীতে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ফেরি চলবে।’