সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

তেহরান, ইরান: তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা জরুরি বলে মনে করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে ইরানের ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাসুদ পেজেশকিয়ান এসব কথা বলেন। সংবাদ ভয়েস অব আমেরিকার।

শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোনসহ বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জামে স্বয়ংসম্পূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সশস্ত্র গোষ্ঠী নিজেদের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইরানের সমর্থনে। এতে আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, ইরানের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বহু বেশি।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রথম বারের মত দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তেহরানের অর্থনৈতিক অবস্থার আসল চিত্র তুলে ধরেন সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ান।

মূলত ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারি দফতর এমনকি ড্রোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এতেই বেশ অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী এ দেশটি।

বর্তমানে দেশটির বার্ষিক জিডিপি মাত্র চার শতাংশ। যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই দুর্বল। তাই, এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বার্ষিক জিডিপি আট শতাংশে উন্নীত করতে চান পেজেশকিয়ান।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে ইরানকে ওপরে উঠতে ২৫০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। তবে, আপাতত অর্ধেকটা মানে ১০০ বিলিয়ন ডলার হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে সংকট থেকে। কারণ, বাকিটা দেশীয় সম্পদ থেকে পাওয়া যাবে।’

পেজেশকিয়ান আরো বলেন, ‘ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা জরুরি।’

এরইমধ্যে অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য বিভিন্ন দেশ সফর করবেন বলে জানান পেজেশকিয়ান।

তিনি জানান, দেশের বাইরে তার প্রথম সফর হবে প্রতিবেশী দেশ ইরাকে। এরপর চলতি মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক যাবেন জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানে বসবাসরত ইরানি নাগরিকদের সাথে বৈঠক করবেন। বৈঠকে প্রবাসীদেরকে দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ইরানের জিডিপি আট শতাংশে উন্নীত হলে মুদ্রাস্ফীতি সমস্যার সমাধান ও বেকারত্বও দূর হতে পারে। এমনকি সমরাস্ত্রে আরো পরিপূর্ণ হতে পারবে ইরান।’