ন্যাশভিল, যুক্তরাষ্ট্র: মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত সাবেক ছাত্রের বন্দুক হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ন্যাশভিলের একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিশু ও তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশের গুলিতে আততায়ীও নিহত হয়। সোমবার (২৭ মার্চ) সকালের হামলাটি পরিকল্পিত ও সতর্কতার সাথে চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
পুলিশ প্রধান জন ড্রেক জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম অড্রে হেল (২৮)। পরে তাকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ বন্দুক হামলার পর পুলিশ প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হেল একটি ইশতেহার রেখে গেছে, যেখানে স্কুলের ম্যাপে প্রবেশ-প্রস্থান পয়েন্টের বিশদ বিবরণ ছিল এবং সে ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সাথে সংঘর্ষের জন্যও প্রস্তুত ছিল।’
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘সন্দেহভাজন সম্ভবত একটি বৃহত্তর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ইশতেহারটিতে একাধিক স্থানে গুলি চালানোর চিত্র রয়েছে ও স্কুলটি সেসব চিহ্নিত স্থানের একটি।’
পুলিশ জানায়, অন্তত দুইটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান নিয়ে হেল পাশের প্রবেশ পথ দিয়ে খ্রিস্টান একাডেমি দ্য কভেনেন্ট স্কুলে প্রবেশ করে। বিল্ডিংয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় একটি দরজা দিয়ে একাধিক গুলি চালায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পুলিশ নিহত ছয়জনকে শনাক্ত করে বলেছে, ‘তিন শিশুর মধ্যে একজনের বয়স আট বছর এবং দুই জনের বয়স নয় বছর, আর নিহত প্রাপ্তবয়স্কদের বয়স ৬০-৬১ বছর।
নিহতদের মধ্যে ক্যাথরিন কুন্স নামের একজনকে একাডেমির ওয়েবসাইটে স্কুলের প্রধান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে প্রায়ই বন্দুক হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সর্বশেষ বন্দুক হামলাকে ‘অসুস্থ’ অভিহিত করে বলেন বন্দুক সহিংসতা ‘এ জাতির আত্মাকে ছিঁড়ে ফেলছে।’
তিনি কংগ্রেসকে গণ হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানান।