রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিস তারিকা স্কারলেট জোহানসন

শুক্রবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের ১০০ সেরা সেলিব্রিটির তালিকায় একাধিক বার উঠে আসা আমেরিকান অভিনেত্রী স্কারলেট ইনগ্রিড জোহানসন। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পৃথিবীর সর্বোচ্চ আয় করা অভিনেত্রী তিনিই। টাইম তাকে ২০২১ সালে পৃথিবীর ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় রেখেছে। তার অভিনীত কমপক্ষে পাঁচটি চলচ্চিত্র সর্বকালের সেরা বক্স অফিস হিট করা ২৫ চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এসব চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ১৪ দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর সে কারণেই তাকে বলা হয় আমেরিকার বক্স অফিস তারকা।

ডেনিশ বাবা ও আমেরিকান মায়ের ঘরে ১৯৮৪ সালের ২২ নভেম্বর জন্ম নেয়া স্কারলেট ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন অভিনেত্রী হবেন। ১৯৯৪ সালে ফ্যান্টাসি কমেডি চলচ্চিত্র রব রেইনার পরিচালিত ‘নথ’র মাধ্যমে হলিউডে শিশু অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ওই চলচ্চিত্রে লরা নেলসনের ভূমিকায় অভিনয় করে বুঝিয়ে দেন, ভবিষ্যতের অসাধারণ এক তারকা তৈরি হতে চলেছে। শিশু অভিনেত্রী হিসাবেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন ডজনখানেক চলচ্চিত্রে।

তিনি ২০০৩ সালে সোফিয়া কপোলা পরিচালিত রোমান্টিক কমেডি ড্রামা ‘লস্ট ইন ট্রান্সলেশন’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম প্রাপ্তবয়স্কদের ভূমিকায় অভিনয় করেন।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘অ্যা গুড ওয়াম্যান’, ‘ম্যাচ পয়েন্ট’, ‘দ্য আইল্যান্ড’, ‘দ্য ব্ল্যাক ডালিয়া’, ‘দ্য প্রেস্টিজ’, ‘আয়রনম্যান টু’, ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’, ‘ক্যাপ্টেইন আমেরিকা : দ্য উইন্টার সোলজার’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এইজ অব আলট্রন’, ‘ক্যাপ্টেইন আমেরিকা : সিভিল ওয়ার’, ‘ঘোস্ট ইন দ্য শেল’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ডগেইম’ প্রভৃতি। এ বছর কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মুক্তি পাবে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘অ্যাস্টারয়েড সিটি’।

নির্মাণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরো দুটি চলচ্চিত্র ‘প্রজেক্ট আর্টেমিস’ ও ‘মাই মাদার্স ওয়েডিং’। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসাবে পেয়েছেন দুটি একাডেমি অ্যাওয়ার্ড ও পাঁচটি গোল্ডেন গ্লোব।

বয়স হলে পারফর্মারদের চেহারা ক্রমেই ম্লান হতে থাকে। সে বিষয় মাথায় রেখে ক্যামেরার পেছনেও চলতে শুরু করেছেন জোহানসন। শিগগিরই চলচ্চিত্র পরিচালনায় নাম লেখাচ্ছেন তিনি। সংগীতশিল্পী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে স্কারলেটের। তার গাওয়া অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দ্য প্রেস্টিজ’, ‘এনিহোয়্যার আই লে মাই হেড’, ‘ব্রেক আপ’। শেষের দুটি অ্যালবামই বিলবোর্ডের ২০০ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

হলিউড তারকাদের মধ্যে দাতব্য ব্যক্তিত্ব হিসাবে স্কারলেট জোহানসনের নাম বহুল চর্চিত। জনহিতৈষী এ অভিনেত্রী মেইক পোভার্টি হিস্ট্রি, ক্যানসার রিসার্চ ইউকেসহ মোট ২৭টি দাতব্য সংস্থায় অর্থ দিচ্ছেন। এছাড়া, টেনেসির একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান সোল্সফরসোল-এ দান করেছেন ২০০০ জোড়া জুতা। এমনকি কেনিয়া ও রুয়ান্ডার দুর্দশাগ্রস্ত বহু মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সুন্দরী এ অভিনেত্রীর পারিবারিক জীবনও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরপুর। পেশাদার চিলড্রেন’স স্কুলে পড়াকালীন সহপাঠী জ্যাক এন্টোফের সাথে মন বিনিময় করেছিলেন। সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ব্ল্যাক ডালিয়া’র সহ-অভিনেতা জশ হার্টনেটের সাথে সম্পর্ক গড়েছিলেন। ব্যস্ততার অজুহাতে টিকল না সেই সম্পর্কও। এরপর তিনি কানাডিয়ান অভিনেতা রায়ান রেনল্ডসের সাথে কিছু দিন প্রেম করার পর ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপে বিয়ে করেন ২০০৮ সালে। এ দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে ২০১১ সালে। এরপর ফের বিভিন্নজনের সাথে সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০২০ সালে তিনি বিয়ে করেন হোস্ট কলিন জোস্টকে। এ সংসারে তাদের রয়েছে এক পুত্র সন্তান। নিউইয়র্ক এবং লস এঞ্জেলেসের দুইটা বাড়িতেই তাদের ঘুরে ফিরে থাকা হয়।