সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গাজায় চলছে তীব্র যুদ্ধ

মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

গাজা সিটি, ফিলিস্তিনী অঞ্চল: দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাসহ গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের তীব্র যুদ্ধ চলছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র রাফায় পূর্ণ অভিযানের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করেছে। একইসাথে যুদ্ধোত্তর নৈরাজ্য ও বিদ্রোহের হুমকি নিয়েও সতর্ক করেছে। তা সত্ত্বেও গাজার উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষের সংবাদ পাওয়া গেছে।

পূর্ব রাফায় হেলিকপ্টার থেকে হামলা ও ভারি গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। একইসাথে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্প ও গাজা সিটির জৈতুন এলাকায় যুদ্ধ চলছে।

ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীরকয়েকটি দেশের আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল রাফায় স্থল হামলার প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। গেল সপ্তাহে দেশটি পূর্ব রাফায় ট্যাংক ও সেনা পাঠিয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ‘মিসর সীমান্ত সংলগ্ন রাফায় গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে ১৪ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনী আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু, ইসরায়েলের হামলার হুমকির কারণে রাফা থেকে এ পর্যন্ত তিন লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনী পালাতে বাধ্য হয়েছে।’ জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি আরো বলেছে, ‘গাজায় কোন এলাকাই নিরাপদ নয়। অধিকাংশ এলাকা ধূসর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।’

উত্তর গাজায় হামাসের কমান্ড সেন্টার ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করার কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ফের হামলা শুরু করেছে দেশটি।

ইসরায়েলের সেনা মুখপাত্র বলছে, ‘হামাসে সেখানে তার সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।’

হামাসের সশস্ত্র শাখা এজেদিন আল কাসাম বিগ্রেড বলেছে, ‘তাদের সদস্যরা রাফা ও জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।’

এ দিকে, জাতিসংঘ বলেছে, ‘রাফায় ইউরোপীয়ান হাসপাতালের দিকে যাওয়ার পথে জাতিসংঘের গাড়িতে হামলার কারণে সংস্থাটির নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত ও আরো একজন আহত হয়েছে।’

গাজা যুদ্ধকালে এটিই প্রথম জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক হতাহতের ঘটনা। যুদ্ধকালে এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯০ ফিলিস্তিনী কর্মীর হয়েছে।