রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার

সোমবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

পিয়ংইয়ং, উত্তর কোরিয়া: ফের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে ১২ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল দেশটি। এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) একটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় কিম প্রশাসন। কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির উত্তরে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে দাবি কিম প্রশাসনের। খবর বিবিসির।

ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ফের আলোচনায় এসেছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি। এটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্ষেপণাস্ত্রটির পরিসীমা ১৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এ নিয়ে ১২ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) একটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় কিম প্রশাসন, যা প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে।

এমন এক সময়ে এ পরীক্ষা চালানো হল, যখন কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানান, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছের একটি এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগর অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। এটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।

জাপানের কোস্টগার্ড বলছে, ‘ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টা পর হোক্কাইদো দ্বীপের পশ্চিম দিকের সাগরে গিয়ে পড়ে।’ তারা আরো জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ছয় হাজার কিলোমিটারের বেশি উচ্চতায় উঠেছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানায় জাপান। উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাপানও।

এ দিকে, গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছিল, চলতি মাসেই দূরপাল্লার একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার সব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও, এটিকে নিজেদের ‘আত্মরক্ষার সার্বভৌম অধিকার’ হিসেবে দাবি করে আসছে দেশটি।