শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪/ট্রাম্প-কমলার কঠিন প্রতিযোগিতার পূর্বাভাস

শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
ডোনাল ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতার পূর্বাভাস দিয়েছে বিভিন্ন নির্বাচনী জরিপ সংস্থা। কমলার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি- এমন তথ্য উঠে এসেছে সিএনবিসির জরিপে। অন্য দিকে, সিএফওর সমীক্ষায় দেখা গেছে, মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনীতিতে ভাল অবস্থানে থাকায় নির্বাচনী দৌড়ে ট্রাম্প এগিয়ে যেতে পারেন। সংবাদ খবর সিএনএন ও সিএনবিসি নিউজের।

এরইমধ্যে কমলাকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এমগেজ অ্যাকশন। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কমলাকে এ সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। তাতে বড় বিপদে পড়েছেন ট্রাম্প।

এ দিকে, নির্বাচনী প্রচারণায় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের দক্ষিণ সীমান্তে যাওয়ার কথা ছিল কমলা হ্যারিসের। এ সময় অভিবাসন বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। ভোটের ব্যবধান কমাতে ভোটারদের সামনে অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের রাজনৈতিক দুর্বলতা তুলে ধরবেন বলে তার সহযোগীরা সিএনএনকে বলেছেন। ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে অভিবাসন ইস্যুটি প্রধান্য পাবে।

সাম্প্রতিক বেশ কিছু জরিপে দেখা যায়, এ ব্যাপারে ভোটাররা কমলার চেয়ে ট্রাম্পের ওপর বেশি আস্থা রেখেছেন।

অন্য দিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে নয়টা ৪৫ মিনিটে তাদের বৈঠক হয়।

ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি আমার সাথে দেখা করেছেন। ইউক্রেনে যা ঘটছে, তা খুবই ন্যক্কারজনক। এত এত মৃত্যু, এত বেশি ধ্বংসযজ্ঞ। এগুলো খুবই ভয়ানক বিষয়। ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে নিজের সক্ষমতার ওপর অগাধ ভরসা রয়েছে ট্রাম্পের।’

তিনি দাবি করেন, পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে ‘খুবই দ্রুত’ একটি ‘চুক্তি সম্পন্ন’ করিয়ে নেয়ার মাধ্যমে যুদ্ধ থামাতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কমলার সাথে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করেছেন জেলেনস্কি। তাদের সামনে নিজের ‘জয়ের পরিকল্পনা’ তুলে ধরেন তিনি। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে রাশিয়াকে চাপে ফেলে সংকটের কূটনৈতিক সমাধান করা যাবে বলে বিশ্বাস করেন জেলেনস্কি।