সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি: দুদকের মামলায় সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৮ আগস্ট

রবিবার, জুন ১৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (১৮ জুন) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এ দিন, মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাসুজ্জামান নতুন এ দিন ধার্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে তিন তলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় ২০২২ সালের ৩১ মার্চ এসকে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার) এসকে সিনহার জন্য তিন তলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। বাড়িটি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে অনন্ত সিনহা নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরো একটি বাড়ি কিনেছিলেন। পেশায় দন্ত চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি ৩০ বছরের কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য বাড়ি কেনেন নগদ টাকায়।

মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউ জার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এসকে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থ পাচারে বৈধ কোন উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি।

দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এসকে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা নিয়েছেন, তা বিদেশে পাচার করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর আরেকটি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাবেক এসকে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত আর অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। তবে, দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এছাড়া, এসকে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।