সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প কর্মে বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তুলেন শিল্পী জিহান

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: জিহান ওয়াজেদ, বাংলাদেশী-মার্কিনী প্রতিভাবান এক তরুণ শিল্পী। চিত্রাঙ্কন, ভাস্কর্য, কোরিওগ্রাফি ও সৃজনশীল কাজে নিজের অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়ে যিনি এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটির আলোচনার শীর্ষে। নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্থাপনায় তার আঁকা মুর‌্যালগুলোতে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের চিরায়ত ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় মুর‌্যাল এঁকে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের বুকে সাড়া জাগানো জিহান ওয়াজেদের অন্যতম শিল্প কর্মের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবন, নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স বিলি জিন কিং ন্যাশনাল টেনিস সেন্টার, এস্টোরিয়ায় ১৭৭ ফিট দীর্ঘ ম্যুরাল ‘ওয়েলকাম এস্টোরিয়া’ মুর‌্যালটি অন্যতম। এছাড়া, নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন বরোতে বড় বড় মুর‌্যালও অঙ্কন করেছেন জিহান ওয়াজেদ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যস্ত নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আকর্ষণীয় একটি মুর‌্যাল একেঁও প্রশংসা কুড়িয়েছেন এ শিল্পী। সম্প্রতি নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকার বাংলাদেশী অধ্যুষিত হিলসাইড এভিন্যু ও ১৬৯ স্ট্রীটের কর্ণারে একটি মুর‌্যাল একেঁ ফের আলোচনায় আসেন তিনি।

জিহান ওয়াজেদ নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক বাংলাদেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ওয়াজেদ এ খানের ছেলে। তিনি পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কের স্টাইভ্যাসেন্ট হাই স্কুল ও বারুখ কলেজে। শিল্পচর্চার পাশাপাশি জিহান একটি স্কুলে আর্ট বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

স্থানীয় এস্টেট ফার্মেসীর বিশাল দেয়ালে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারায় অংকিত মুর‌্যালটির থীম হচ্ছে ‘চেইজিং ড্রিমস’। নিউইয়র্ক সিটির অনুন্নত কমিউনিটির উন্নয়নে নিবেদিত অলাভজনক সংগঠন ‘ভাল’ সার্বিক সহযোগিতা করেছে মুর‌্যালটি নির্মাণে। মুর‌্যালটিতে গ্রামবাংলার বিস্তীর্ণ সর্ষে ফুলের মাঠের মধ্য দিয়ে ছোট ছেলে-মেয়েরা বাংলা অক্ষরের দিকে ছুটছে। এ চিত্রকর্মে বাংলাদেশের প্রকৃত ও প্রাণবন্ত প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। যার মধ্য দিয়ে আমাদের মূল শেকড়, ঐতিহ্য ও ভাষাগত পরিচিতির সম্মান ও মর্যাদা বজায় রাখার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় বহুজাতিক নিউইয়র্ক সিটিতে।

জিহানের শিল্প কর্মের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্ক সিটির পারিপার্শ্বিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রকৃতি, ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠছে বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।