ফ্লিন্ট, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মিশিগানের ফ্লিন্টে আরব আমেরিকান ও মুসলিম নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তিনি তাদের সাথে দেখা করেন। গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ক্ষুব্ধ ভোটারদের মন জয় করতে এ পদক্ষেপ নেন কমলা। সংবাদ রয়টার্সের।
বৈঠকটি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মুসলিম ও আরব আমেরিকান ভোটারদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে নেয়া বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টার মধ্যে একটি। যারা ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনকে শক্তিশালী সমর্থন দিয়েছিলেন, তারা যদি কমলাকে ভোট না দেন, তাহলে মিশিগানে জয় পাওয়া কমলার জন্য কঠিন হবে।
আধা ঘন্টার বৈঠকে কমলা গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ ও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ও লেবাননে বাস্তুচ্যুতি নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যুদ্ধের অবসানের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেন এবং একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ প্রতিরোধের ব্যাপারে গুরুত্ব দেন। তার প্রচারাভিযান কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন।
মুসলিম আমেরিকান অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এমগেজ অ্যাকশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ায়েল আলজায়াত, যিনি সম্প্রতি কমলাকে সমর্থন করেছেন, বলেছেন যে, ‘অংশগ্রহণকারীরা এ সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে তাদের গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন।’ এছাড়া যুদ্ধের অবসানে নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন কমলাকে।
এমগেজ অ্যাকশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলাকে গাজা ও লেবাননে সহিংসতার অবিলম্বে অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে প্রভাবিত করার জন্য বলেছিলেন। কমলাও এতে সম্মত হন যে, এ যুদ্ধের অবসান হওয়া প্রয়োজন।
এ দিকে, লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের টাস্ক ফোর্সের প্রেসিডেন্ট এড গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ‘এ বৈঠকে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা এবং মানবিক সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তার পক্ষ থেকে বহু সমবেদনা পেয়েছি। এটি একটি মূল্যবান দ্বিপক্ষীয় বিনিময় ছিল। আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছি। আমরা আরো বৈঠক করতে চাই।’
কমলা হ্যারিস একজন ডেমোক্র্যাট হিসেবে আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হবেন। জনমত জরিপে যা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের পূর্বাভাস দিয়েছে। আরব আমেরিকান ইনস্টিটিউটের এ সপ্তাহে প্রকাশিত একটি জরিপ অনুসারে, উভয় প্রার্থীই আরব আমেরিকানদের সমর্থন পেয়েছেন।