আফগানিস্তানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া এতে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
তবে অল্প সময় স্থায়ী এই ভূমিকম্পে এতো বেশি প্রাণহানির কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে আফগান পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ নাজিবুল্লাহ সাদিদ জানান, ওই অঞ্চলে ভারি বর্ষণের মৌসুমে এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। ওই অঞ্চলের মানুষ মাটি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে বাড়িঘর তৈরি করে। এ ধরনের বাড়িঢ়র ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
এছাড়া ভূমিকম্প ও উৎপত্তি স্থানের গভীরতাও এতো প্রাণহানির জন্য দায়ি বলে জানিয়েছেন নাজিবুল্লাহ সাদিদ।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ভূমিকম্প হয়েছিল গভীর রাতে…এছাড়া ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্টের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই কারণে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়।
ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন অনেক মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল এবং সাতটি হেলিকপ্টার ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা বিভিন্ন পোস্টে ধ্বংসস্তুপ, ভেঙে পড়া বাড়িঘর এবং আহত মানুষদেরকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
ভূমিকম্পটি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের ৫০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুভূত হয় বলে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিকাল সেন্টারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ভূমিকম্প অনভূত হয়েছে।