নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: চিটাগাং এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার ইনকের (চট্টগ্রাম সমিতি) নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেছে বিজয়ী তাহের-আরিফ প্যানেল। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামসহ অন্য নেতারা। এতে সংগঠনের করোনাকালীন স্থবিরতা, অন্তর্বর্তী কমিটিসহ সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন এবং এই নিয়ে ওঠা আপত্তির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘করোনাকালীন স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন ও নির্ধারিত সময়ে সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও সে কমিটি নির্ধারিত সময়ে দায়িত্ব শেষ করতে ব্যর্থ হয়। অন্তর্বর্তী কমিটি প্রথমে একটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠন করে; যা সমিতির বেশীর ভাগ সদস্যই তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করেন। সকলের সম্মিলিত ও ব্যাপক আপত্তির কারণে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সে নির্বাচন কমিশনের অধীনে উৎসবমুখর পরিবেশে হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ নয়টি পদে তাহের-আরিফ পরিষদের নেতারা নির্বাচিত হন।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মাকসুদুল হক চৌধুরীর প্রকাশ্যে ফেসবুক লাইভে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বর্ণবিদ্বেষী বলে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করার হুমকির প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে ফলাফল ঘোষণার সময় প্রকাশ্যে আসা চ্যালেঞ্জ ভোটের ব্যাখ্যাও দেয়া হয়।
এছাড়াও পরাজিত প্রার্থীরা চট্টগ্রাম ভবনে ঢুকে অসাংবিধানিকভাবে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে শপথ গ্রহণের নাটক করে বলেও অভিযোগ আনা হয় সংবাদ সম্মেলনে। মাকসুদ-মাসুদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে যারা নির্বাচিত হয়েও যথাযথভাবে শপথ নেননি, তারা যদি অবিলম্বে শপথ না নেন, তবে নির্বাচন কমিশন বরাবার নির্বাচনে দ্বিতীয় ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীদের শপথ না নেয়া পদে নির্বাচিত ঘোষণা করার দাবীও জানায় তাহের-আরিফ প্যানেল।