শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাসা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১ এর গ ধারায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাল্লাহের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। বৃহস্পতিবার আল আমিন হাজিরা দেন। এরপর মামলাটির পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ বদলির আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সাথে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের দাম পরিশোধের জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ইসরাতের বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, আল-আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েক বার মারধর করার পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।’

মামলার অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতন্ডায় জড়ান। তার স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। আল-আমিন তার (ইসরাত) সাথে সংসার করবেন না, তাকে তালাক দেবেন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তার সাথে আগের মত আচরণ করতে থাকেন।

মামলায় ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন আল-আমিন। পর দিন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। আট সপ্তাহ পর তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলেন আদালত।

গত ১ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।