শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রাউজানে ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশেই আবু জাফরকে হত্যা ও লাশ গুম!

শুক্রবার, আগস্ট ৩০, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক একটি অনলাইন টিভি চ্যানেলের টক শো সূত্রে রহস্য উন্মোচন হতে চলছে চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আবু জাফর খুনের রহস্য। সেই টক শোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান দাবি করেন, বিগত ২০০৮ সালের শেষে রাউজানের প্রাক্তন সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী তার একজন বিশ্বাস ভঙ্গের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে আমাকে ক্রস ফায়ার করতে বলে। আমি ওই সাংসদের কথা অমান্য করায় আমাকে র‌্যাব থেকে বদলি করে দেয়া হয়। পরবর্তী সেই সাংসদ তৎকালীন র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্ট উইংয়ের প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে দিয়ে সৈয়দ আবু জাফরকে খুন করে লাশ গুম করেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম সিটির মোমিন রোডের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সৈয়দ আবু জাফরের ছেলে জিসানুর রহমান। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জিসানুর রহমান বলেন, ‘২০১০ সালের ২৭ মার্চ ছোট ভাই ও চাচা সালাহ উদ্দীনকে (আব্বুর খালাত ভাই) নিয়ে উনার বাসায় যাচ্ছিলাম। সিটির খুলশীস্থ ভূঁইয়া গলির মুখ থেকে আমাদের সামনেই একটি কালো রঙের মাইক্রো বাস আমার আব্বুকে তুলে নিয়ে যায়। ঘরে ফিরে ব্যাপার জানালে মাসহ সকলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে আসামিদের নাম শুনে তা নেয়নি খুলশী থানা। সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর দপ্তরে গিয়েও আমরা সুরাহা পাইনি। তবে, ২০২২ সালের ২২ আগস্ট লন্ডনভিত্তিক অনলাইন ওয়ানএ নিউজ চ্যানেলের টক শোতে সঞ্চালক কাজী হেমায়েত উদ্দিনের প্রশ্নের উত্তরে হাসিনুর রহমান আমার বাবার অপহরণের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন।’

টক শোর বরাতে জিসানুর উল্লেখ করেন, কাজী হেমায়েত উদ্দিন এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে হাসিনুর রহমান বলেন, ‘২০০৮ সালের শেষে রাউজানের একজন সাংসদ তার একজন বিশ্বাস ভঙ্গের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে ক্রস ফায়ার করতে বলে। সে সাংসদের আমি কথা শুনিনি। যেহেতু চেয়ারম্যানের নামে মামলা আছে, আমি আদালতে দিয়ে দেই। ওই সাংসদ আমার উপর চরম ক্ষেপে যায় ও জিয়াউল আহসানকে দিয়ে ওই চেয়ারম্যানকে খুন করে। জিয়াউল আহসান গর্বের সাথে কোন এক ফোরামে এ সম্পর্কে বলে ফেলে।

এ টক শোর পর ফজলে করিম চৌধুরী লোক পাঠিয়ে আবু জাফরের স্ত্রীকে দিয়ে টক শোর কলাকুশিলবদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করান।

২০১০ সালের ২৭ মার্চ থেকে পরিবারের সদস্যরা সৈয়দ আবু জাফরের প্রতীক্ষায় আছেন। ব্যাপারটি তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তার সন্তান জিসানুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে গুম হওয়া সৈয়দ মোহাম্মদ আবু জাফরের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার, বড় ছেলে মোহাম্মদ জিসানুর, বড় বোন আজিজুর নুর, সৈয়দুর নুর, মমতাজুল হক, নাহিয়ান, উপস্থিত ছিলেন।