রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শিরোনাম

রামগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা নারী সংবাদকর্মীর

বুধবার, অক্টোবর ১৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে আসমা আক্তার এক সংবাদকর্মী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে জেলার রামগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দেন। এ সময় তার স্বামী যায়যায়দিন পত্রিকার রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন বাচ্চু দীর্ঘ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আসমা আক্তারের আগের সংসারের দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

এ ঘটনায় তার স্বামী বেলায়েত হোসেন বাচ্চু ও তার প্রথম স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেও মূলত তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

রামগঞ্জ থানা পুলিশ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল চারটার দিকে পৌর শহরের মৌলভী বাজার এলাকার আমির হোসেন ডিফজলের বাসার পঞ্চম তলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আসমার দেশের বাড়ি খুলনায় দৌলতপুরে হলেও সে বরিশালে প্রথম স্বামীর জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে বাসা ভাড়া নিয়ে জীবন যাপন করে আসছিল। জাহাঙ্গীর আসমা দম্পতির দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সাংবাদিকতার সুবাদে বেলায়েত হোসেন বাচ্চুর সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বেলায়েত বাচ্চু ও আসমার সংসারে কোন সন্তান ছিল না।

জানা যায়, দশ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বরিশালের যুবক জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে বিয়ে হয় আসমার। সেই সংসারে তার দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে । বড় ছেলের বয়স আট বছর ও ছোট ছেলের বয়স ছয় বছর। বড় ছেলে আসমার মা বাবার কাছে থাকলেও ছোট ছেলে পুতুলকে নিয়ে আসমা আক্তার বরিশালে থাকতেন ।

দেড় বছর আগে আসমা রামগঞ্জের তিন সন্তানের পিতা বেলায়েত হোসেন বাচ্চুর সাথে পরিচয়ের সূত্রে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ে করে বরিশালে এক বছর থাকলেও ছয় মাস আগে এসে রামগঞ্জ পৌরসভায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

আগের স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে কলহের জের ধরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন একই ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ও প্রতিবেশী ভাটিয়ারা আরো মনে করেন, সঠিক নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।

রামগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র দে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় আসমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।