পিয়ংইয়ং, উত্তর কোরিয়া: ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক সরবরাহের ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে উত্তর কোরিয়া বলেছে, ‘এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে ধ্বংস করার প্রক্সি যুদ্ধকে প্রসারিত করছে।’ খবর এএফপির।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে রা্শিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলোর অন্যতম ৩১টি আব্রামস ট্যাঙ্ক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
চীনের পাশাপাশি রাশিয়া হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার কয়েকটি আন্তর্জাতিক বন্ধু দেশের অন্যতম ও এর আগে তারা পিয়ংইয়ং সরকারকে সাহায্য করেছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে দেয়া বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন কিম ইয়ো জং ইউক্রেন সঙ্কটের জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করে ও তারা ট্যাঙ্ক পাঠানোর মাধ্যমে ‘আরো লাল রেখা অতিক্রম করছে ’বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে রাশিয়াকে ধ্বংস করার জন্য প্রক্সি যুদ্ধকে আরো সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী লক্ষ্য পূরণের অশুভ অভিপ্রায়।’
ইয়ো জং আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হল ‘চির শত্রু’ একটি দেশ। এ ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া ‘সর্বদা রাশিয়ার বাহিনী ও জনগণের পাশে দাঁড়াবে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র না থাকলে বিশ্ব আরো উজ্জল, নিরাপদ ও শান্ত হত।’
সিরিয়া ও রাশিয়া ছাড়া উত্তর কোরিয়াই একমাত্র দেশ, যারা পূর্ব ইউক্রেনে রুশ সমর্থিত দুইটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল লুহানস্ক ও দনেৎস্কের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে অন্যতম দেশ রাশিয়া পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ উত্তর কোরিয়ার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে অবস্থান নিয়েছে। এমন কি তারা মানবিক কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে উত্তর কোরিয়াকে রেহাই দেয়ার আহবান জানিয়েছে।
কিম জং উন গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়াকে একটি ‘অপরিবর্তনযোগ্য’ পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন ও দেশটি গত বছর প্রায় প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এসব অস্ত্রের মধ্যে তাদের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।