ঢাকা: রাশিয়ায় এ বছরই আলু রপ্তানি পুনরায় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আগে দেশ থেকে অনেক আলু রপ্তানি হত। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় পুনরায় আলু রপ্তানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কির সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আলুতে ব্রাউনরট রোগ শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়ায় ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। আলু ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আম, ফুলকপি, বাঁধাকপি নিতে চায় রাশিয়া।
সাক্ষাৎকালে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি বলেন, ‘বাংলাদেশের আম ও ফুলকপি অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়াতে এগুলো রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম ও ফুলকপি দ্রুত রাশিয়ায় নিতে চাই।’
সাক্ষাৎকালে রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) সইয়ের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা পটাশিয়াম আমদানি করে থাকি। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক বিদ্যমান রয়েছে, এটিকে নবায়ন করা হবে। একই সাথে রাশিয়া থেকে আমরা ডিএপি সার আনতে চাই। এ বিষয়েও শিগগির একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) সই হবে।’
নির্বাচনে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি মন্ত্রী বলেন, ‘ভোটাররা নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন নি। উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হবে, এটিই স্বাভাবিক। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখনো ভোটারের ব্যাপক আগ্রহ ও উপস্থিতি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশে যেখানে শতকরা ৪০ ভাগের মত ভোট কাস্ট হয়, সেখানে আমাদের দেশে শতকরা ৮০-৮৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয়।’
অন্য দিকে, আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোটাররা আছেন কিনা, তা যাচাই করতে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহবান জানান মন্ত্রী।