/ 
প্রিন্ট করুন
মস্কো, রাশিয়া: নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মত কাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র- এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞাসহ কয়েকটি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া। এরই মধ্যে গের ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ করেন। সেই দিন তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অক্টোবর মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
শুক্রবারের (১৫ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মত পরিস্থিতি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
তার আগে (আগামী কয়েক সপ্তাহে) বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ আরো কয়েকটি চাপ প্রয়োগ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসনের টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশের প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। সেইসাথে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার দায়ে অনেক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অকাট্য প্রমাণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র এসব অভিযোগ আনবে বলে মন্তব্য করেছেন জাখারোভা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ, সড়কে যান চলাচল বন্ধ, বাস পোড়ানো ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা উল্লেখ করে মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘আমরা এসব ঘটনার সাথে ঢাকায় পশ্চিমা একটি কূটনৈতিক মিশনের সন্দেহজনক কার্যকলাপের সংযোগ দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে পিটার হাসের বিরোধীদের সাথে বৈঠক, যা নিয়ে গেল ২২ নভেম্বরের ব্রিফিংয়ে আমরা কথা বলেছি।’
৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচনে যদি জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন না ঘটে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ‘আরব বসন্ত’ এর আদলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল করার চেষ্টার করতে পারে।’
এমনটি ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হবে মন্তব্য করে জাখারোভা বলেন, ‘শাসন ক্ষমতার প্রশ্নে বহিরাগত যে কোন শক্তির ‘ষড়যন্ত্র’ মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশের জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিশ্বাস করে রাশিয়া।’
