সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ/ওয়াগনার বিদ্রোহের তথ্য পূর্বেই জানত যুক্তরাষ্ট্র

সোমবার, জুন ২৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ডেস্ক প্রতিবেদন: ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষ হয়ে ভাড়ায় খাটা ওয়াগনার গ্রুপ রুশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জুনের মাঝামাঝি বিদ্রোহ করবে বলে আগেই তথ্য পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতার পতন ও দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রাগারে কী ঘটতে যাচ্ছে- এ নিয়ে গেল দুই সপ্তাহ সর্বোচ্চ উদ্বেগ ছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন এক কর্মকর্তা। অবশ্য গেল শুক্রবার (২৩ জুন) পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে বিদ্রোহের সময় এবং ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে ধোঁয়াশা কাটছিল না। প্রিগোজিন ভিডিও বার্তায় তার যোদ্ধাদের ওপর রুশ বাহিনীর রকেট হামলার অভিযোগ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হতে থাকে ও ধারণা করা যায়, আসলে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। খবর খবর গার্ডিয়ান ও নিউইয়র্ক টাইমসের।

গেল বুধবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র এক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিদ্রোহের বিষয়ে পরিষ্কার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। ওই দিনই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি জানান। শুধু তা-ই নয়, কংগ্রেসের কয়েকজন নেতাকেও বিষয়টি জানানো হয়।

এ দিকে, ওয়াগনারের বিদ্রোহ বন্ধের পর ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানই তার কাছে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সশস্ত্র বিদ্রোহে নিজের কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতা হুমকিতে পড়ার পর প্রথম বার তিনি রাষ্ট্রীয় টিভিতে সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি এ দাবি করেন। তবে, তার সাক্ষাৎকারটি বিদ্রোহের আগেই রেকর্ড করা বলে মনে করা হচ্ছে।

পুতিন বলেন, ‘কিয়েভে সামরিক অভিযান দিয়েই আমি আমার দিন শুরু ও শেষ করি।’ তিনি নিজ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানান। ইউক্রেনে হামলার সব পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বলেও উল্লেখ করেন পুতিন।

ওয়াগনার বিদ্রোহ করায় ইউক্রেন খুশি হলেও দেশটির এক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা রোববার (২৫ জুন) বলেছেন, ‘ওয়াগনারের এ বিদ্রোহের চেষ্টা সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার।’ ইউরিয়া সাক নামের এ কর্মকর্তা অবশ্য গেল সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘মস্কোতে যে কোন বিশৃঙ্খলা রাশিয়াকে দুর্বল আর ইউক্রেনকে শক্তিশালী করবে।’

এর আগে শনিবার (২৪ জুন) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ওয়াগনার বাহিনীর এ বিদ্রোহই প্রমাণ করে- পুতিন কোন কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তিনি আসলেই ভীত। লুকিয়ে থাকায় তাকে কেউ খুঁজে পাচ্ছে না। তিনি নিশ্চিত, পুতিন মস্কোতে নেই।’ তিনি নিজেই এ ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলেও দাবি করেন জেলেনস্কি।

এ দিকে, বিদ্রোহ শেষ হলেও পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র কোন ধরনের চিন্তার পরিবর্তন করেনি বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। পুতিনের সম্ভাব্য পতন ও রুশ পারমাণবিক মজুত সুরক্ষিত কিনা– এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা সব সময় সব সম্ভাব্যতার জন্য প্রস্তুত থাকি।’