ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সিনেট জয়ের পর প্রতিনিধি পরিষদেও (হাউজ অব রিপ্রেজেনন্টেটিভস) নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রিপাবলিকান শিবির। ফলে, নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইন প্রণয়নে তার ক্ষমতা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে গেলেন। সংবাদ এপির।
রিপাবলিকানরা অ্যারিজোনায় জয়ের পরে ৪৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে কমপক্ষে ২১৮টি আসন জিতেছেন।
সিনেটে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রতিনিধি পরিষদেও তাদের আধিপত্য নিশ্চিত হওয়ায় কর ও খরচ সংকোচন, জ্বালানি খাতে নিয়ন্ত্রণ শিথিলকরণ ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের মত একটি বিস্তৃত অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন ট্রাম্প।
রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসন ফক্স নিউজকে গেল সপ্তাহে বলেছেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য কাজ করতে হবে ও আমরা করব।’
‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আক্রমণাত্মক নীতিতে এগুতে হতে চান। তিনি বড় হতে চান ও আমরা এটি সম্পর্কে উত্তেজিত। আমরা তীব্র ধংসাত্মক মন নিয়ে খেলতে যাচ্ছি।’
বাইডেনের মেয়াদের গেল দুই বছর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ বিরোধীদল রিপাবলিকানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ সময় বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নে বাইডেন প্রস্তাব পাস করতে বাধার মুখে পড়েছেন। আর এবার ক্ষমতার অন্তত প্রথম দুই বছর ট্রাম্প অনেকটা বাধা ছাড়াই নিজের নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন।
ট্রাম্প ইতোমধ্যেই জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিক ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে ফ্লোরিডার প্রতিনিধি মাইক ওয়াল্টজ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন পরিচালক জন র্যাটক্লিফ মনোনীত করেছেন। এ ছাড়া ফক্স নিউজের উপস্থাপক পিট হেগসেথ পরবর্তী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং তার দীর্ঘ দিনের বন্ধু স্টিভেন উইটকফকে মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ দূত হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজকে মনোনীত করবেন তিনি। আর ফ্লোরিডার সিনেটর কট্টর ইসরাইলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। এসব নিয়োগ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির উপর বৃহত্তর রাজনৈতিক বিভাজনের প্রতিফলন ঘটাবে, যেখানে ইসরাইলের স্বার্থ সকলের পূর্বে থাকবে।