সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

শিরোনাম

রেসিপি/গরমে প্রাণ পরিতৃপ্ত হবে কাঁচা আমের ভিন্ন স্বাদের দুই শরবতে

রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

রেসিপি প্রতিবেদক: বৈশাখের তাপদাহ যেন ঝলসে দিচ্ছে চারপাশ। তীব্র গরমে কিছু খেয়েও শান্তি নেই। মুখের রুচিটা কোথায় যেন পালিয়েছে। তবে দারুন সংবাদ হল, এ গরমে পাওয়া যায় আম। বাজারে এরমধ্যেই কাঁচা আমের মিলছে। কাঁচা আম লবণ-মরিচ দিয়ে ভর্তা কিংবা আচার তৈরির পাশাপশি বানানো যায় শরবতও, যা এ গরমে এনে দেবে স্বস্তি।

এখন কাঁচা আমের দুই ধরনের শরবতের রেসিপি বলব। রেসিপি দুইটি কাছাকাছি হলেও স্বাদ কিন্তু ভিন্ন।

কাঁচা আম-শসার শরবতের রেসিপি: দুইটি কাঁচা আম খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিতে হবে। কাঁচা আমের টক স্বাদের ভারসাম্য আনার জন্য যোগ করতে হবে দুইটি শসা। এবার পুদিনা পাতা, বিট লবণ আর স্বাদমত চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ভালভাবে ব্লেন্ড হয়ে গেলে তাতে যোগ করুন দেড় গ্লাস পানি। এবার আইস কিউব দিয়ে পরিবেশন কাঁচা আমের শরবত। এ পরিমাণ দিয়ে অনায়াসে দুইজন তৃপ্তি মেটাতে পারবেন।

কাঁচা আম পোড়া শরবত: হাতে যদি সময় থাকে, তবে তৈরি করতে পারেন কাঁচা আম পোড়া শরবত। এ শরবত তৈরির জন্য প্রথমে আম ভাল করে পুড়িয়ে নিতে হবে, যেন আমের ভেতরটাও ভাল করে সেদ্ধ হয়। তারপর পোড়ানো আমটাকে ঠান্ডা করে খোসা ছাড়িয়ে আমের পাল্প আলাদা করে নিতে হবে। পুড়িয়ে নেয়ার কারণে আমের টক স্বাদ বহুলাংশে কমে আসবে। এবার একটি ব্লেন্ডারে আমের পাল্প, পানি, চিনি, বিট লবণ, ভাজা জিরে গুঁড়ো, চাট মসলা ও পুদিনা পাতা দিয়ে ভালভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার একটা গ্লাসে ওই মিশ্রণ থেকে দুই চামচ নিয়ে তাতে পানি ও বরফ মেশাতে হবে। পুদিনা আর বিট লবণ থাকায় এ পানীয়টি নিমিষেই রিফ্রেশিং একটা ভাব এনে দেবে। চাইলে আম পোড়া মিশ্রণটি কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। আমের পাল্পের মিশ্রণের সাথে পানি আর বরফ মিশিয়ে শরবত তৈরি করে নিতে পারবেন যখন তখন।

আরো পড়ুন

ঢাকা: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের নামাজ পরবর্তী বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা হয়। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। পরবর্তী সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। দুই রাকাত ওয়াজির নামাজের পর খুতবা দেন ইমাম, এরপর হয় মোনাজাত। মোনাজাতে গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। মুসল্লিরা অনেকেই চোখের জলে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা। প্রথম জামাত শেষে মুসল্লিদের একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা গেছে। মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের সেলফিতে মেতে উঠতে দেখা যায়। সারাদেশে আজ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।