শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

‘রোহিঙ্গাদের পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা মুহিতের

বুধবার, মে ২৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে: জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত ‘জাতিসংঘ, আসিয়ান ও আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য গৃহীত পাইলট প্রকল্পকে সমর্থন করতে এবং এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদেরকে মায়ানমারের সমাজে পুনরায় একীভুত হতে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ মে) নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

আবদুল মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন যে, উভয় পক্ষ রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে এক দল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে মায়ানমারে ফিরে যাবে ও পর্যায়ক্রমে অন্যদের প্রত্যাবাসন করা হবে।

তিনি আরো জানান যে, বিগত ৫ মে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যায় ও সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মায়ানমার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা দেখেন।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে আবদুল মুহিত বলেন, ‘এর আওতায় রোহিঙ্গাদেরকে পারিবারিক ইউনিটে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর ফের যেন তারা সেখানে মায়ানমার কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের সম্মুখীন না হয়, সে জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সজাগ থাকা থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলোকেও রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মায়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।’

বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য ও আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলেঅ অংশ নেয়। সভায় উপস্থিত সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী মায়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মায়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন ও রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মায়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।