ঢাকা: বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের দায়িত্ব পালনে ‘অসাধারণ’ অগ্রগতি অর্জন করেছে। এটি একটি চমৎকার কাজ। এটি প্রমাণ করে যে, র্যাব মানবাধিকারকে শ্রদ্ধাবোধ রেখেই সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও আইন প্রয়োগকারী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে সক্ষম।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতির উল্লেখ করে লু বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের ওই বিবৃতি বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড কমাতে র্যাবের বিস্ময়কর সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এক বছরেরও বেশি সময় আগে র্যাব ও এর কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
লু আরো বলেন, ‘র্যাব সম্পর্কে আমাদের বেশ ভাল আলোচনা হয়েছে। আমরা এ ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছি’।
এর আগে,মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সাথে মন্ত্রণালয়ে পৃথক বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সচিবের সাথে আমরা অত্যন্ত আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার প্রকাশ করেছি। যুক্তরাষ্ট্র যখন সমস্যা দেখবে, তখন তারা কথা বলবে ও পরামর্শ দেবে। আমরা বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াব।’
লু বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেস ট্রেডিং স্কিমের অনুমোদন দিলে বাংলাদেশই হবে প্রথম দেশ, যারা জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) জন্য যোগ্য হবে। আমরা এখনো আমাদের কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছি যে, তারা কখন কোন দেশকে জিএসপি অনুমোদন দেয়। আমরা সরকারের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। তাই, যখন এটি অনুমোদিত হবে, তালিকায় প্রথম দেশটি হবে বাংলাদেশ।’
জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস একটি বাণিজ্য সুবিধা, যার আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অনেক দেশকে এ সুবিধা দিয়ে থাকে।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুই দিনের সফরে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এখানে আসেন লু।