শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত: পানিবন্দি প্রায় চার লাখ মানুষ

রবিবার, আগস্ট ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

লক্ষ্মীপুর: বন্যার পানিতে লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম এখন প্লাবিত। এতে পানিবন্দি হয়ে আছেন চার লাখেরও অধিক মানুষ। গেল দুই দিন ধরে নোয়াখালীর বন্যার পানি রহমতখালী খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরে ঢুকে পড়ছে। এতে সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের চন্দ্রগঞ্জ, হাজিরপাড়া, উত্তর জয়পুর, চরশাহী, দিঘলী, মান্দারী, দত্তপাড়া, বাঙ্গাখা ইউনিয়নসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে আছে জনপদ। মানুষ পরিবার পরিজন, হাঁস মুরগী ও গৃহপালিত পশু নিয়ে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে।

মেঘনা নদীর তীরবর্তী রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে তীব্র জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত এখন। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কমলনগর, রামগতি, সদর ও রায়পুরের একাংশ। এসব এলাকায় প্রশাসনের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিএনপি, জামায়াতসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আশ্রিতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলার প্রশাসক সুরাইয়া জাহান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘নোয়াখালীর বানের পানি রহমত খালী খাল ও ওয়াপদার খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে যাচ্ছে, তাই লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, বন্যার্তদের জন্য ৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।’

তিনি জানান, গেল তিন দিন থেকে জেলার পাঁচটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে প্রায় নয় হাজার ৫০০ জন পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আজ রোববার (২৫ আগস্ট) আরো বহু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র এসেছে।

তিনি বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ইতিমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নগদ দশ লাখ টাকা ও ৫০০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এ দিকে, শিশুখাদ্য জন্য পাঁচ লাখ ও গো-খাদ্য জন্য পাঁচ লাখ টাকা আজ রোববার (২৫ আগস্ট) বরাদ্দ পেয়েছি।’

গেল কয়েক দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭০ জনকে সাপে দংশন করেছে। আজ রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল জানান, সদর হাসপাতালে গেল কয়েক দিনে ৭০ জন সাপে দংশনের রোগী এসেছেন। আক্রান্ত কয়েকজন রোগীকে বিষধর সাপের ছোবল দিয়েছে। এরমধ্যে সাতজন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।