/ 
প্রিন্ট করুন
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতিতে বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে মানুষ। এ দিকে, বৃষ্টি থামছে না, পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রায় সাত লাখ ২৩ হাজার মানুষ।
নতুন করে বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেও ঠাঁই নেই। বন্যাকবলিত সদরের মান্দারী, দত্তপাড়া, দিঘলী, বাঙাখাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে বন্যার ভয়াবহ চিত্র। এই ইউনিয়নগুলোর রাস্তা ঘাট প্রায় ৮০ ভাগ ডুবে গেছে। কোথাও হাঁটু পরিমাণ কোথাও কোমর বা বুক পরিমাণ পানি রয়েছে। রয়েছে খাদ্যও সুপেয় পানির অভাব। দুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ জরুরী হয়ে পড়েছে।
এ দিকে, প্রশাসনের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত, সেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে।
জেলার প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ‘সকলের সমন্বিত প্রয়াসে বন্যা মোকাবিলা করতে হবে, জেলায় বর্তমানে সাত লাখ ২৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৪০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সরকার ইতিমধ্যে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দশ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া দিয়েছে। এছাড়া, শিশু খাবারের জন্য পাঁচ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে আগের বরাদ্দ ৫৭৬ মেট্রিকটন। আজ পর্যন্ত ৭৮৯ মেট্রিকটন চাল ও নগদ টাকার শুকনো খাদ্য ও রান্না করা খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বন্যা কবলিত এলাকায় জন্য এ বরাদ্ধ পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরো দেড় হাজার মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩০ লাখ টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
