ঢাকা: গরম ও সেচ কাজের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা থাকায় গ্রীষ্মে লোডশেডিং বন্ধ রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে সিপিডি আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
সভায় উপদেষ্টা জানান, লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সেচকাজ এবং গরমে চাহিদা বাড়ায় এবারও লোডশেডিং হবে। তবে, তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। সেই সাথে, সবাইকে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার অনুরোধ করছি।’
গ্রীষ্মে সেচ মৌসুম ও অতিরিক্ত গরমে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহারে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। গত বছর সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট থাকলেও, বেশিরভাগ সময় মিলেছে ১৫ হাজারের মধ্যে। তখন লোডশেডিং ছাড়ায় ২ হাজার মেগাওয়াট। এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হচ্ছে ১৮ হাজার মেগাওয়াট।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এবার গরমে লোডশেডিং ছাড়াতে পারে ৩ হাজার মেগাওয়াট।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, এবার গ্রীষ্মে শহর ও গ্রামে সমান লোডশেডিং করা হবে।
তারও আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভা শেষে জ্বালানি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে কোনো লোডশেডিং হবে না। তবে গ্রীষ্মে ৭০০-১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।