সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল ‘বিপর্যয়’, আতঙ্কে ভারতের উপকূলবাসী

বৃহস্পতিবার, জুন ৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

গোয়া, ভারত: প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারত। দুই দেশেরই বিভিন্ন অঞ্চলে স্বস্তির বৃষ্টিসহ তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তবে, এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোখার পর এবার আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ‘বিপর্যয়’। সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস। এ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণপূর্ব আরব সাগরে দ্রুত শক্তিশালী হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকূলবর্তী রাজ্যগুলোতে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ উত্তর-পশ্চিম দিকে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে পাঁচটায় গোয়ার প্রায় ৮৬০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মুম্বাই থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আরও তীব্র হবে এবং উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।

পূর্বভাস অনুযায়ী, গুজরাটে আছড়ে পড়তে পারে বিপর্যয়। ঝড়ের গতি হতে পারে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। গতি বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। পরিস্থিতি মাথায় রেখে ত্রাণ ও উদ্ধারের ব্যবস্থা করে রেখেছে রাজ্য সরকার।

প্রবল বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে সতর্ক মহারাষ্ট্র সরকারও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুম্বাই, থানে, পালঘরে টানা চার দিন বৃষ্টি হতে পারে। কর্ণাটক সরকারও ঝড় মোকাবিলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে।

ভারতের আবহাওবিদরা আরো জানাচ্ছেন, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং মায়ানমারের আরাকান অঞ্চলের উপকূলের কাছে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে আপাতত শক্তি বৃদ্ধি করতে পারছে না এ সিস্টেমটি। নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শক্তি বাড়াতে পারে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্তটি। মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলের কিছু জায়গায় এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) মায়ানমার উপকূল লাগোয়া পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ তামিলনাড়ু ও পশ্চিম শ্রীলঙ্কা লাগোয়া দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় প্রায় ৫৫ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যাবে। আগামী শনিবার (১০ জুন) পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের এ সিস্টেমের জেরে ঝোড়ো হাওয়া জারি থাকবে।