/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: শনিবার (২৯ জুলাই) ১০ মহররম পবিত্র আশুরা। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার (২৯ জুলাই) পুরো দেশে আশুরা পালন করা হবে।
কারবালার ‘শোকাবহ ও হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’ এ দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।
আশুরা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন। আশুরা উপলক্ষে শনিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে, শনিবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম ও স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এ দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। আশুরা উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার দুপুর দেড়টায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আশুরার মহান শিক্ষা আমাদের সকলের জীবনে প্রতিফলিত হোক। কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মৃতিতে ভাস্বর আশুরার শাশ্বত বাণী আমাদেরকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্বুদ্ধ করে, প্রেরণা যোগায় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। আশুরার মহান শিক্ষা আমাদের সকলের জীবনে প্রতিফলিত হোক- এ প্রত্যাশা করি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরা উপলক্ষে দেয়া বাণীতে বলেন, ‘আসুন আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নেয়ার মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশুরা অত্যন্ত শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ মহিমান্বিত একটি দিন। বিভিন্ন কারণে দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পবিত্র ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘হিজরী ৬১ সালের ১০ মহরম মহানবী হযরত মুহম্মদের (স.) প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তার পরিবারবর্গ কারবালা প্রান্তরে শাহাদতবরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিায় তাঁদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।’
