ওয়াশিংটন: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে সপরিবারে রাজধানী ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন তিনি। পৌঁছেছেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সও। ওয়াশিংটনের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলের ভেতরে বসবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আসর। তবে প্রতি বারের মতো এ বছর ক্যাপিটল ভবনের বাইরের উদ্যানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি। ওয়াশিংটনে এই মুহূর্তে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। অনুভূত হচ্ছে অতিরিক্ত ঠান্ডা। এ কারণে অনুষ্ঠান ‘আউটডোর’-এ না করে ‘ইনডোরে’ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ দ্য গার্ডিয়ানের।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথগ্রহণের পর একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। যার মধ্যমণি হিসেবে থাকবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স। এই নৈশভোজে তাদের ঘনিষ্ঠজনদের পাশাপাশি অংশ নেবেন দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা।
আমন্ত্রিত অতিথি নয়, এমন ব্যক্তিরাও এই নৈশভোজে অংশ নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। ট্রাম্পের এই নৈশভোজে টিকেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই টিকেটের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা প্রায়)। সর্বনিম্ন দাম ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ডলার (৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রায়)।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের নৈশভোজে থাকার জন্য পাঁচ ধরনের টিকেটের বন্দোবস্ত রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলারের টিকেট ছাড়াও রাখা হয়েছে ৫ লাখ ডলার, আড়াই লাখ ডলার, এক লাখ ডলার ও ৫০ হাজার ডলারের টিকেট।
কিন্তু, নৈশভোজের টিকেটের কেন এত দাম? সোমবার (২০ জানুয়ারি) যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, তার মূল উদ্দেশ্য অর্থ সংগ্রহ। এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগৃহীত হবে, তা নির্দিষ্ট একটি তহবিলে জমা হবে।
প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট উভয়ের সঙ্গে সরাসরি নৈশভোজের জন্য ন্যূনতম দুটি টিকেট কিনতে হবে। এছাড়া, আছে ‘ক্যান্ডেল লাইট ডিনার’র ব্যবস্থা যেখানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প। আর এর জন্য কিনতে হবে ছয়টি টিকেট।
মূলত ট্রাম্পের প্রধান দাতাদের জন্যই এই টিকেটের ব্যবস্থা। তবে গত বারের চেয়ে এবার তাদের দ্বিগুণ অর্থ গুনতে হচ্ছে। এরপরও ইতিমধ্যে হাজার হাজার টিকেট বিক্রি হয়েছে।
মার্কিন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ‘সোমবার ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দিন ওয়াশিংটনে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি এ দিন তাপমাত্রা গত ৪০ বছরে সর্বনিম্ন হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।’
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রবল ঠান্ডায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বা দুর্ঘটনা না-ঘটে, তা নিশ্চিত করতে অনুষ্ঠান ভবনের ভেতরে রোটান্ডায় করা হবে। সেখানে ৭০০-র বেশি মানুষ ঢুকতে পারবেন না।
অথচ ট্রাম্পের শপথগ্রহণে যোগ দেয়ার জন্য অন্তত ২ লক্ষ ২০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রথম ৭০০ জন ভেতরে বসে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাবেন। বাকিদের জন্য অন্যত্র বড় স্ক্রিনে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। শপথগ্রহণ শেষ হলে সেখান থেকেও ঘুরে আসবেন ট্রাম্প।