ঢাকা: শপথ নিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র শাহাদাত হোসেন। তাকে শপথ বাক্য পড়িয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ।
রোববার (৩ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এএফ হাসান আরিফ।
অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা হাসান আরিফ চসিকের মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘শাহাদাত হোসেন বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের একটি প্রধান সিটির মেয়র হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন, এটাই তার কাছে প্রত্যাশা করি। আমরা গ্রিন চট্টগ্রাম দেখতে চাই। জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম দেখতে চাই। ক্লিন সিটি হিসেবে নগরবাসীরও একই প্রত্যাশা।’
তিনি আরো বলেন, ‘পেছনের সব ধ্যান-ধারণা, চিন্তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছাত্র-জনতা-শ্রমিকদের যে অর্জনের জন্য তাদের আত্মত্যাগ রয়েছে, সে প্রত্যাশা পূরণের জন্য বৈষম্যহীন শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে দেখতে চাই। আমি মনে করি, এ প্রত্যাশা চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের। আমাদের প্রত্যাশা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের।’
শপথ নিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। যদি চট্টগ্রাম শহরের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপ করা যায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি- এসব আমার নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করা হয়। একইসাথে পরবর্তী দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেয়া করা হয়। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাংলাদেশ গেজেটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সরকারি গেজেট প্রকাশিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বা তৎকর্তৃক মনোনীত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাদের শপথ গ্রহণের বিধান রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সানুগ্রহ সম্মতিতে আজকের এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে