শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শরণার্থী রুখতে করোনাকালীন আইন বহাল থাকছে যুক্তরাষ্ট্রে

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের প্রবেশ রুখতে করোনাকালীন আইন অর্থাৎ ‘টাইটেল ৪২’ বহাল থাকছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এ নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। বাইডেন প্রশাসন অবশ্য এ আইন তুলে নেয়ার কথা বলেছিল। ‘টাইটেল ৪২’ আইনটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক চলছে। খবর রয়টার্সের।

এ আইনের সাহায্যে যে কোন শরণার্থী, উদ্বাস্তু ও অভিবাসনপ্রত্যাশীকে কারণ দর্শানো ছাড়াই দেশ থেকে বের করে দেয়া যায়। এ ছাড়া সীমান্তে আটকে দেয়া যায় শরণার্থীদের। ২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন করোনাকে সামনে রেখে এ আইনটি চালু করেছিল।

করোনা-পরবর্তী ‘টাইটেল ৪২’ জারি থাকবে কি না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। বাইডেন প্রশাসন আইনটি তুলে দিতে চাইলেও ১৯টি সীমান্তবর্তী রাজ্য এর পক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরে। প্রতিটি রাজ্যই রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকে পড়ে। আইনটি বহাল রাখার দাবি জানায় তারা।

শেষ পর্যন্ত ৫-৪ ভোটে আইনটি আপাতত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। যদিও একই সাথে আদালত জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী যে সমস্যাগুলোর কথা রাজ্যগুলো বলছে, তার সাথে করোনার কোন সম্পর্ক নেই। ফলে করোনার আইন জারি রেখে সীমান্তের সমস্যা মেটানোর যে ভাবনা তারা জানিয়েছে, তা অর্থহীন।

১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বিতর্কিত ‘টাইটেল ৪২’ আইনটি পাস হয়। গণ স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এ আইন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আইনটি প্রথম প্রয়োগ করা হয় ২০২০ সালে ট্রাম্পের শাসনামলে। ট্রাম্প প্রশাসন কঠোরভাবে আইনটি পরিচালনা করে। এ আইনের সাহায্যে অতি সহজেই ভিসাবিহীন বাসিন্দাদের বিনা নোটিশে দেশ থেকে বিতাড়িত করা যায়। এখন পর্যন্ত এ আইন ২৫ লাখ বার প্রয়োগ হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে প্রশাসন। এ আইনের সাহায্যে বহু শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি।

আইনজ্ঞদের বক্তব্য, শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নানা সমস্যা রয়েছে। মঙ্গলবারও (২৭ ডিসেম্বর) মেক্সিকো সীমান্তে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ভিড় জমিয়েছিল। বিষয়টি মার্কিন প্রশাসনের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ‘টাইটেল ৪২’ অত্যন্ত অমানবিক একটি আইন। অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের সাথে অমানবিক আচরণ করার সুযোগ থাকে এ আইনে। করোনা মহামারীর সময় তা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। করোনা-পরবর্তী সে কারণেই আইনটি তুলে নেয়ার কথা বলা হয়েছিল।