নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী প্রবাসীদের আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের ‘জালালাবাদ ভবন’ এর দায়িত্ব অবশেষে ট্রাস্ট্রি বোর্ডের কাছে দেয়া হয়েছে। শাহীন কামালী-মইনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় এস্টোরিয়ার জালালাবাদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সংশোধন করা হয়েছে অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সংখ্যা চারজনের স্থলে আটজন করা হয়েছে এবং আটজনের মধ্য থেকেই চেয়ারম্যান করা হবে একজনকে। সভায় বদরুল-রোকন কমিটি কর্তৃক কবর বিক্রির ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন কামালীর সভাপতিত্বে ও সহ সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনি আসাদের সঞ্চালনায় সভার মঞ্চে ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ওহিদুর রহমান মুক্তা, ফজলুর রহমান, সাবেক সভাপতি এমএ কাইয়্যুম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলিম উদ্দিন।
সভায় সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম তার প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে বলেন, ‘সংগঠনের কিছু সদস্য অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমের প্রতি চরম অনীহা, অসহযোগিতা ও সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে। আমরা একাধিক বার মৌখিক ও লিখিতভাবে যোগাযোগ করার পরও তাদের নির্লিপ্ততার কারণে সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ অবস্থায় সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে গেল ১৫ জানুয়ারি আমরা শূন্যপদগুলো পূরণ করি। কার্যকরি কমিটির প্রথম সভায় আমরা গঠনতান্ত্রিক নিয়মানুসারে জালালাবাদের ব্যক্তিদের নিয়ে বোর্ড অব টাস্টি গঠন করি। ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন সিলেটের ওহিদুর রহমান মুক্তা, সুনামগঞ্জের আব্দুল মুকিত চৌধুরী মারুফ, হবিগঞ্জের সৈয়দ ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের সৈয়দ জুবায়ের আলী।
সভায় অ্যাসোসিয়েশনের আগামী দিনের কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। এগুলো হল বৃহত্তর সিলেটের সব আঞ্চলিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের লোক নিয়ে বাংলাদেশের সব জাতীয় দিবস পালন; আগামী ১৭ মার্চ রমজান মাসের প্রথম রোববার কোরআন তেলাওয়াত ও জালালাবাদবাসীর জন্য দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন; বাংলাদেশী কমিউনিটির নয়া প্রজন্মের বাচ্চাদেরকে মাদকের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন মাদকবিরোধী সচেতনতা ও কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা; জালালাবাদবাসীর স্বপ্নের দৃশ্যমান জালালাবাদ ভবনকে মর্টগেজমুক্ত করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জালালাবাদবাসীর সহযোগিতা থাকলে বর্তমান জালালাবাদ ভবনের পাশের দুইটি বাড়ি কিনে ‘জালালাবাদ কমিউনিটি সেন্টার’ নির্মাণের পরিকল্পনা।
সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটির চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন। এগুলো হল জালালাবাদ ভবন ট্রাস্ট। তিন ক্যাটাগরিতে জালালাবাদ ভবন থাকবে। গোল্ডেন সদস্য ১৫ হাজার ডলার, প্লাটিনাম সদস্য দশ হাজার ডলার ও সিলভার সদস্য পাঁচ হাজার ডলার। এসব অর্থ এককালীন পরিশোধ করতে হবে। কার্যকরি কমিটির সংখ্যা ২৫। মেয়াদকাল তিন বছর।