শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সান ফ্রান্সিসকো পৌঁছেছেন জিনপিং ও বাইডেন

বুধবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র: পৃথিবীল দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির নেতাদের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৈঠকের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোতে পৌঁছেছেন। বাণিজ্য উত্তেজনা, নিষেধাজ্ঞা এবং তাইওয়ানের প্রশ্নে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে তীব্র বিরোধের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় এপেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে এক বছরের মধ্যে প্রথম এই দুই নেতা মুখোমুখি হবেন।
বাইডেন এবং শির এই বৈঠকটিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপর্যস্ত হওয়া সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের একটি সুযোগ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সান ফ্রান্সিসকো যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘আমরা চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করছি না। আমরা যা করছি, তা হল সম্পর্ককে আরো ভাল করার জন্যে পরিবর্তন আনার চষ্টা করছি।’

বৈঠকে তিনি কী অর্জনের আশা করছেন, জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ‘তিনি একটি স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে যেতে চান; যদি কোন সংকট দেখা দেয়, তবে ফোন তুলতে ও একে অপরের সাথে কথা বলতে সক্ষম হওয়া; আমাদের (সেনাবাহিনী) এখনো একে অপরের সাথে যোগাযোগ আছে সেটা বজায় রাখা।’

তবে, বাইডেন আরো সতর্ক করেছেন যে, বেইজিংয়ের ব্যবসায়িক অনুশীলনের কারণে চীনে বিনিয়োগের বিষয় যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক ছিল।

তিনি বলেন, ‘আমি এমন অবস্থানের জন্য সমর্থন বজায় রাখতে যাচ্ছি না, যেখানে আমরা যদি চীনে বিনিয়োগ করতে চাই, তবে আমাদের সব বাণিজ্য গোপনীয়তা উল্টে দিতে হবে।’

সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুই প্রেসিডেন্টের কয়েক ঘণ্টার বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২১টি অর্থনীতিকে নিয়ে এই ফোরাম একসাথে বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৬০ শতাংশ।

শি ও বাইডেন উভয়েই প্রধান ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে দেখা করবেন ও আরো কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

একটি গুপ্তচর বেলুন নিয়ে বিবাদে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শি এবং বাইডেনের মধ্যে ২০২২ সালের নভেম্বরের আলোচনার ইতিবাচক গতিপথটি লাইনচ্যুত হয়। যুক্তরাষ্ট্র এটিকে চীনা গুপ্তচর বেলুন বলে দাবি করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বেইজিংয়ে পরিকল্পিত সফর বিলম্বিত করেছিল।

শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বেইজিংয়ের প্রত্যাশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ‘গভীর যোগাযোগ’ ও ‘বিশ্ব শান্তি সম্পর্কিত প্রধান বিষয়গুলো’ উল্লেখ করে অস্পষ্ট জবাব দেন।’