নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন তিন দেশের নেতারা। সম্প্রতি ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি দুই ঘনিষ্ট প্রতিবেশি রাষ্ট্র কানাডা ও মেক্সিকোসহ চীনের রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তার এই ঘোষণার সাথে তিনটি দেশই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সংবাদ এএফপির।
চীন ইতোমধ্যে রপ্তানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। একইভাবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া শেইনবাউম ও অর্থমন্ত্রী এব্রার্ড পাল্টা শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পাম বিচে পৌঁছেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো বলেছে, ‘তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার মার-এ-লোগো বিলাসবহুল এস্টেটে বৈঠক করবেন।’
এ দিকে, কানাডিয়ান সরকারি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ সিবিসি জানিয়েছে, ট্রুডোর সঙ্গে তার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক ও রয়েছেন। ট্রুডো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিবেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে তার অঘোষিত সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
ট্রাম্প গেল সোমবার (২৫ নভেম্বর) কানাডাজুডে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে দঃখজনক বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি যখন প্রতিবেশি কানাডা ও মেক্সিকো এবং চীনের বিরুদ্ধে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন, তখন তিন দেশেই অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাত শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কানাডার রপ্তানির পরিমাণ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি। যার পরিমাণ ৪২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কানাডার রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করছে প্রায় ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান।
এ দিকে, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা করছে।
জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এই ধরনের বিবৃতি দেন, তখন তিনি সেগুলো বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেন। এতে কোন সন্দেহ নেই।’