ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহিংস হুংকারে গণতন্ত্রকামী মানুষ আতঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (১৩ নভেম্বর) ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোববার (১২ নভেম্বর) নরসিংদীতে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে তিনি যে হুংকার দিয়েছেন, তা শুনে হতবাক ও আতঙ্কিত দেশের মানুষ। এ দিন শেখ হাসিনা আরো অনেক কথা বলেছেন; যা কেবল মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষের পক্ষেই বলা সম্ভব।’
প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘এটা কি কোন সভ্য দেশের সরকারপ্রধানের মুখের ভাষা হতে পারে? দেশের দুর্ভাগ্য এ ধরনের মানুষ এখনো প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার দখল করে আছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর কথায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। তার এমন বক্তব্য কেবল শপথভঙ্গ নয়, আইনের গুরুতর লঙ্ঘনও। দেশের মানুষ এসব বক্তব্যের বিচার এক দিন করবে।’
দেশে অসংখ্য গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, চোখ বাঁধা মানুষের দীর্ঘ সারি ও ফাঁসিতে ঝোলানোর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে এলে শেখ হাসিনার রক্তপিপাসু মন কোন পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে, তা জনগণ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারছে। বায়ান্ন থেকে নব্বই পর্যন্ত অসংখ্য আত্মত্যাগ এখন একনায়কের দড়িতে ঝুলছে।’
বর্তমান সরকার পালানোর পথ খুঁজছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘তারা ভয়ে-আতঙ্কে প্রলাপ বকছে, খিস্তি খেউড় আর আর্তনাদ করছে। শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনে বোঝা যাচ্ছে, তিনি নিজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পুরো আস্থা রাখতে পারছেন না। ফলে, শটগান, হাতুড়ি-চাপাতি-লগি-বৈঠাধারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দিচ্ছেন ভোটাধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলনরতদের আগুনে নিক্ষেপ করে হত্যা করতে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলে তিনি আঁতকে ওঠেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ভোটাররাই ফয়সালা করবে।’
সরকারের মত পুলিশও এখন গায়েবি তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘কবরে শায়িত মরদেহের নামে, ওমরাহ পালনরত ব্যক্তির নামে, হাসপাতালে শায়িত পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির নামে, প্রবাসীর নামে ও কারাবন্দি নেতাদের নামে মামলা দিয়ে পাইকারি আসামি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ককজায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার টিকে থাকার শেষ চেষ্টা করছে।’